বৃষ্টিপাতের অভাবে শুকিয়ে কাঠ ভেনিসের খাল! ছবি: রয়টার্স।
ভাটার টানে হাহাকার ভেনিসে। একে বৃষ্টি নেই, দোসর হয়েছে ভাটা। আর তাতেই শুকিয়ে কাঠ ভুবন জোড়া যার খ্যাতি, সেই ভেনিসের খাল। ইতিউতি কাদায় আটকে গন্ডোলা। শীত যত বাড়ছে, কপালের ভাঁজ ততই চওড়া হচ্ছে ভেনিসের গন্ডোলা ব্যবসায়ীদের। কারণ, ঠান্ডার সঙ্গেই খালে পাল্লা দিয়ে নামছে জলস্তর। একই সঙ্গে মনখারাপ পর্যটকদেরও। কারণ, জল শুকিয়ে গেলে গন্ডোলা চালানো সোনার পাথরবাটির নামান্তর!
তবে ভেনিসের বড় বড় খালগুলিতে এখনও কোনও রকমে জলের জোগান স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। সেখানেই গন্ডোলায় চড়ে মজা লুটছেন দুনিয়ার পর্যটকেরা। তবে, শহরের অপেক্ষাকৃত ছোট খালগুলির অবস্থা বেজায় সঙ্গীন। সেখানে জল শুকিয়ে কাদা বেরিয়ে এসেছে। সেই কাদায় আটকে পড়ে আছে একের পর এক গন্ডোলা। জল না ওঠা পর্যন্ত যার নড়ার সম্ভাবনা নেই।
সাধারণত, জোয়ারের টানে ভেনিসের খালগুলি সারা বছর টইটম্বুর থাকে। কিন্তু এ বারের শীতে ভাটার টানে সেই যে জল বেরিয়ে গেল সাগরে, তা ফেরার আর নাম নেই। এর কারণ, পর্যান্ত বৃষ্টির ঘাটতি। ঠিক এই কারণেই জোয়ার এলেও তা অভাব পূরণ করতে পারছে না সর্বত্র। ভেনিসে গন্ডোলা চড়ার সবচেয়ে নামী জায়গার নাম ‘সেন্ট মার্কস স্কোয়ার’। সেখানেও একের পর এক গন্ডোলা থমকে কাদায়। সবচেয়ে সমস্যা হয়েছে জল কেটে চলা অ্যাম্বুল্যান্সের। জরুরি ফোন এলেও জল না থাকায় পথ ধরে ছুটতে হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সকে।
মোড়ে মোড়ে গন্ডোলা আটকে যাওয়ার দৃশ্য দেখেও ঘাবড়াচ্ছেন না ইতালির জোয়ার-ভাটা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, এমনটা খুব স্বাভাবিক। শক্তিশালী একটা জোয়ারের অপেক্ষায় আছি। তা হলে সব আবার আগের মতো হয়ে যাবে। বুধবার সম্ভবত এই পরিস্থিতির অবসান হতে চলেছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।