COVID-19

Covid Vaccine: টিকা নিলেও ভয় নেই মায়ের দুধে, বলছে গবেষণা

গত বছর ডিসেম্বর থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক জন স্তন্যদায়িনী মায়ের উপরে এ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লস অ্যাঞ্জেলেস শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২১ ০৫:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্তন্যদায়িনী মায়েরা এ বার নিশ্চিন্তে মডার্না এবং ফাইজ়ারের মতো এমআরএনএ টিকা নিতে পারবেন। মায়ের দুধে তার কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন আমেরিকার এক দল গবেষক।

Advertisement

অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদায়িনী মায়েরা করোনা প্রতিষেধক নিতে পারবেন বলে সম্প্রতি ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার ভিত্তিতে ভারত-সহ বহু দেশই ওই মহিলাদের টিকাকরণ চালু করেছে। কিন্তু স্তন্যদায়িনী মায়েদের শরীরে এমআরএনএ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে একটা খটকা ছিলই। যেমন অ্যাকাডেমি অব ব্রেস্টফিডিং মেডিসিন জানিয়েছিল, স্তন্যদায়িনী মায়েদের শরীরে এমআরএনএ ভ্যাকসিনের খুব সামান্যতম অংশও যদি কলাকোষের মাধ্যমে দুধের মধ্যে মিশে যায়, তা হলে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এমনকি আগের কয়েকটি গবেষণায় দাবি উঠেছিল, এমআরএনএ প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই আশঙ্কা অমূলক বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক। এক গবেষণার প্রেক্ষিতে তাঁরা জানিয়েছেন, ফাইজ়ার বা মডার্নার মতো এমআরএনএ প্রতিষেধক নিলেও মায়ের দুধে তার অস্তিত্ব মেলেনি।

গত বছর ডিসেম্বর থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক জন স্তন্যদায়িনী মায়ের উপরে এ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রতিষেধক দেওয়ার আগে ও পরে নানা সময়ে দুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তা থেকেই ওই সিদ্ধান্তে আসেন বিজ্ঞানীরা। জেএএমএ পিডিয়াট্রিক পত্রিকায় প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে শিশুদের দুধ খাওয়ানো বন্ধ রেখেছেন বা শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এখনও ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা এ বার নিশ্চিন্তে টিকা নিতে পারেন। পাশাপাশি গবেষকেরা জানিয়েছেন, খুব কম পরিসরে এই গবেষণা চালানো হয়েছিল। পুরোপুরি নিশ্চিত হতে বৃহত্তর মাপে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।

Advertisement

এ দিকে মায়ানমার ঘেঁষা চিন সীমান্তেও করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বাড়ছে বলে আজ জানিয়েছে বেজিং। মায়ানমার সীমান্তবর্তী ইউনান প্রদেশে হঠাৎ সংক্রমণের হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ফলে ডেল্টা স্ট্রেনের বাড়াবাড়ি এবং মায়ানমার থেকেই ওই এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে বলে চিন মনে করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement