ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটে জয়ের পরেই ঘোষণা করেছিলেন। হোয়াইট হাউসের প্রবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সে দেশের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ১৫৬ বছরের পুরনো আইন বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক সরকারি নির্দেশনামায় সই করেছেন তিনি।
আমেরিকার আইনে জন্মসূত্রের নাগরিকত্বকে বলা হয় ‘জুস সোলি’। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ল্যাটিন শব্দ। যার অর্থ হল ‘মাটির অধিকার’। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা হয়েছে, সেখানে জন্ম নেওয়া প্রতিটা শিশুকে স্বাভাবিক ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। শিশুটির মা-বাবা অন্য দেশের নাগরিক হলেও সে জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে।
১৮৬৮ সালে ১৪তম সংশোধনীতে এই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টিকে আমেরিকার সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যদিও ১৮৫৭ সালে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল জন্মসূত্রে কেউ আমেরিকার নাগরিকত্ব দাবি করতে পারবে না। ভোটের প্রচারে ট্রাম্প বারে বারেই দাবি করেছিলেন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যেই দেশে অভিবাসী সমস্যা বাড়ছে। অবৈধ অভিবাসীদের সন্তান আমেরিকায় জন্ম নিলেও যাতে নাগরিকত্ব না পায়, তা নিশ্চিত করতেই এ বার সক্রিয় হলেন ট্রাম্প।