মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এ বার সেই প্রতিশ্রুতি পালনে তৎপর হল তাঁর সরকার। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ‘যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করার জন্য’ মঙ্গলবার ছ’সদস্যের সার্চ কমিটি গড়া হয়েছে।
চলতি মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টার আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে। তার ওই মন্তব্যের পর সরকারের ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল প্রাক্তন শাসকদল বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। একটি সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, সংস্কার নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কম। বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। এই আবহে মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল ইউনূস সরকার।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ছ’সদস্যের সার্চ কমিটি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতিটি পদের ক্ষেত্রে দু’জন করে ব্যক্তির নাম সুপরিশ করবে। তাঁদের মধ্যে থেকে কোনও এক জনের নাম বেছে নেওয়া হবে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দু’জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা হলেন পিএসসির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন জিন্নাতুননেসা তাহমিদা বেগম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সিআর আবরার।
এ ছাড়া আইন অনুযায়ী পদাধিকারবলে সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মহম্মদ নূরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে আসিফ বলেন, ‘‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রা শুরু হল। নির্বাচন কমিশন গড়ার উদ্দেশ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দ্রুত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’’