অন্তত ৩২ বার স্পাইক প্রোটিন বদলে করোনাভাইরাসের এই রূপ তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফাইল চিত্র।
ডেল্টা হানায় বিধ্বস্ত ইউরোপ। সেই আবহে করোনাভাইরাসের ‘আরও ভয়ঙ্কর’ একটি রূপের হদিশ মিলল দক্ষিণ আফ্রিকা ও বৎসোয়ানায়। ভাইরোলজির পরিভাষায় যার নাম বি.১.১৫২৯। অন্তত ৩২ বার স্পাইক প্রোটিন বদলে করোনাভাইরাসের এই রূপ তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ২২ জন ব্যক্তি এই রূপে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেই এই রূপের জন্ম হয়েছে। ব্রিটেনের ইউসিএল জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ফ্র্যাঙ্কোসিস ব্যালাউক্স বলেন, ‘‘এই রূপ কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তা এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে এখনই ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এখন আমাদের উচিত এই রূপের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা। এখনই খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।’’
ইম্পিরিয়াল কলেজের ভাইরোলজিস্ট টম পিকক বলেন, ‘‘এই রূপ ডেল্টার চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। তবে উল্লেখ্য, এই রূপে এখনও পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক মানুষই আক্রান্ত হয়েছে।’’
এনআইসিডি-র ভারপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান পুরেন বলছেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের হাতে বিশ্লেষণযোগ্য তথ্যের পরিমাণ খুবই কম। তাও আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি।’’