Coastal Fishing Rules

ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ইউনূস সরকারের, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন সে দেশের মৎস্য গবেষক, মৎস্যজীবী সংগঠন, ট্রলার মালিক এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৯
Share:
New coastal fishing rules imposed in Bangladesh

ইউনূসের ‘নজর’ বঙ্গোপসাগরে। —ফাইল ছবি।

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সময়সীমা কমিয়ে ৫৮ দিন নির্ধারণ করার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ প্রায় একই সময়ে করা হয়েছে।

Advertisement

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের মৎস্য গবেষক, মৎস্যজীবী সংগঠন, ট্রলার মালিক এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সে দেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, এত দিন পর্যন্ত প্রতি বছর বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকত ৬৫ দিন—২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫। আর ভারতের জলসীমায় ৬১ দিন—১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন।

বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের অভিযোগ ছিল, নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার মধ্যে প্রায় ৩৯ দিন ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একাংশ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যেতেন। এর ফলে কয়েক লক্ষ ধীবর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হত। পাল্টা অভিযোগ উঠত ভারতীয় মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির তরফেও। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। বাংলাদেশের চাঁদপুরের ‘কান্ট্রি ফিশিংবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি শাহ আলম মল্লিক মঙ্গলবার ইউনূস রকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এর ফলে জলসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা কমবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement