শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে এই রূপ। প্রতীকী চিত্র।
ডেলটাক্রন,ওমিক্রন এখন অতীত! সন্ধান মিলেছে কোভিডের নয়া রূপের! এমনই দাবি করছেন চিনের এক দল বিশেষজ্ঞ। যে রূপের নাম ‘নিওকোভ’। উহানের এই চিকিৎসা-বিজ্ঞানীদের দাবি, শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কার হওয়া এই মার্স-করোনাভাইরাস। শুধু কি তাই? চিনা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই রূপের মারণক্ষমতাও তুলনামূলক ভাবে বেশি। প্রতি তিন সংক্রমিতের এক জনের মৃত্যু হতে পারে ‘নিওকোভ’- এ।
উহানের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। সেখানে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, বাজার চলতি কোনও করোনা টিকাই ‘নিওকোভ’- এর ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে না। যদিও এই ভাইরাস নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
তবে ‘নিওকোভ’- এর মতো রূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে। কোভিড-১৯-এর সঙ্গে অনেক জায়গাতেই মিল নিয়ো-কোভের। প্রথম এই ধরনের রূপের সন্ধান মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মূলত বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায় ‘নিওকোভ’। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’ একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হচ্ছে, চিনা বিশেষজ্ঞদের যে নয়া রূপ নিয়ে সাবধান করছেন, তা নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানব শরীর এই রূপটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।
আপাতত ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্ব ত্রস্ত। তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতার জন্য এই রূপ নিয়ে আলাদা ভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। তবে আশার কথা, ওমিক্রনের মারণক্ষমতা অনেক কম।