Mount Kailsh

Mount Kailash: নিষিদ্ধ এই পর্বতে এলে নাকি বয়স বেড়ে যায়! আজও রহস্যে ঘেরা ‘শিবের বাসস্থান’ কৈলাস

তিব্বত মালভূমি থেকে ২২ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত কৈলাসকে হিন্দুদের পাশাপাশি বৌদ্ধ এবং জৈনরাও পবিত্র বলে মনে করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:২৮
Share:

মাউন্ট কৈলাস।

কৈলাস। ‘শিবের বাসস্থান’। হিন্দুদের বিশ্বাস কৈলাস পর্বতেই সপরিবারে বাস করেন শিব। কৈলাসকে ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য, কাহিনি এবং বিশ্বাস। রহস্যে ঘেরা এই পর্বত সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অধরা থেকে গিয়েছে। এই পর্বতের চূড়ায় এখনও পর্যন্ত কেউ উঠতে পারেননি।

তিব্বত মালভূমি থেকে ২২ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত কৈলাসকে হিন্দুদের পাশাপাশি বৌদ্ধ এবং জৈনরাও পবিত্র বলে মনে করেন। প্রচলিত বিশ্বাস, যে হেতু কৈলাসে দেব-দেবীর বাস, তাই কোনও মানুষ সেখানে যেতে পারবেন না। ওখানে ওঠা মানেই দেবতাদের রোষে পড়া। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

Advertisement

হিন্দু মতে মাউন্ট মেরুর একটি অংশ হল কৈলাস। তিব্বতি ঐতিহ্য অনুযায়ী, ১১ শতকে মিলারেপা নামে এক বজ্রযানী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী এই পর্বতের চূড়ার কাছাকাছি উঠতে সমর্থ হয়েছিলেন। তিনি নাকি সেখান থেকে ফিরে এসে সকলকে সাবধানও করেন যে, ঈশ্বরের বাসস্থানে না যাওয়াই ভাল। তার পরেও নাকি অনেকে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা হয় পথভ্রষ্ট হয়েছেন, অথবা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মারা গিয়েছেন। ফলে অধরাই থেকে গিয়েছে কৈলাস পর্বতের চূড়া।

কৈলাস পর্বতের আকার পিরামিডের মতো। অনেকে একে ‘পৃথিবীর কেন্দ্র’ বলেন। এটি ‘কসমিক অ্যাক্সিস’ বা ‘ওয়ার্ল্ড পিলার’ নামেও পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, কৈলাসেই স্বর্গ এসে পৃথিবীতে মিলেছে। কথিত যে, কৈলাস পর্বত থেকে ফেরার পরে হঠাৎ করে নাকি নখ বা চুল বড় হয়ে যায়। শোনা যায়, কয়েক জন সাইবেরিয়ান পর্বতারোহী কৈলাস পর্বতের ‘নিষিদ্ধ’ এলাকায় গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বয়স নাকি কয়েক দশক বেড়ে গিয়েছিল। যদিও এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিশ্বাস, কাহিনির বেড়াজালে মোড়া কৈলাস পর্বত একটা রহস্যের ঘেরাটোপেই রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

কৈলাস পর্বতের পাদদেশেই রয়েছে মানস সরোবর এবং রাক্ষসতাল। ১৪ হাজার ৯৫০ ফুট ওপরে অবস্থিত মানস সরোবর বিশ্বের উচ্চতম মিষ্টি জলের হ্রদ। আশ্চর্যের বিষয়, যত জোরেই হাওয়া দিক না কেন মানস সরোবরের জল সবসময়ই শান্ত থাকে। কিন্তু রাক্ষসতালের জল সব সময় অশান্ত থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস যে, শিবকে প্রসন্ন করার জন্য রাক্ষসরাজ রাবণ যে তপস্যা করেছিলেন, তার থেকেই রাক্ষসতালের সৃষ্টি। সে কারণেই এই হ্রদের জল অশান্ত থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement