বিধ্বস্ত গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।
ইজ়রায়েল সঙ্কট কি ফের কাছাকাছি এনে দিল সৌদি আরব এবং ইরানকে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কারণ দীর্ঘ সময় পরে ফোনে কথা হল দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। বুধবার ফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি এবং সৌদির রাজা মহম্মদ বিন সলমন। সম্প্রতি চিনের মধ্যস্থতায় তেহরান এবং রিয়াধের মধ্যে দূরত্ব খানিক কমলেও এত দিন ফোনে কথা হয়নি দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে।
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে এই ফোন-কথোপকথনের নির্যাস জানিয়ে বলা হয়েছে, “প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, তা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” যদিও সৌদির তরফে এমন কোনও দাবি করা হয়নি। বরং তাদের তরফে বলা হয়েছে, চলতি সংঘাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে তারা। এর পাশাপাশি নিরীহ মানুষদের উপর হামলার তারা নিন্দা করছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।
প্রসঙ্গত, ইজ়রায়েল-হামাস চলতি সংঘাতে প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। ইরান সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেও ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা এই লড়াইয়ে হামাসের সঙ্গেই রয়েছে। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক’ করতে সম্প্রতি আমেরিকার মধ্যস্থতায় আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছিল সৌদি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রিয়াধ এবং তেল আভিভের কাছাকাছি আসা বিশ বাঁশ জলে বলে মনে করা হচ্ছে।
একদা আরব জাতীয়তাবাদের অন্যতম দুই স্তম্ভ সৌদি এবং ইরানের আলোচনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও এই সংঘাতে অধুনা আরব দেশগুলির মধ্যেও মতপার্থক্যের দিকটি প্রকাশ্যে এসেছে। ইরান যেখানে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে চরম অবস্থান ধরে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে, সেখানে সৌদি অপেক্ষাকৃত নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।