—প্রতীকী ছবি।
নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর জেলার একটি গ্রাম। সম্প্রতি সেখানকার এক নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বছর তেরোর ওই নাবালিকা বেশ কয়েক দিন ধরেই নিখোঁজ ছিল। কাদার ভিতর থেকে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নাবালিকার সারা শরীরে ক্ষত ছিল। চোখ দু’টি শক্ত কিছু দিয়ে খুবলে নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। পাশেই শুকনো আখ পড়ে থাকতে দেখে মনে করা হচ্ছে, সেটি দিয়েই চোখ খুবলেছেন দুষ্কৃতীরা। ঘটনার বীভৎসতায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারাও।
গত রবিবার স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি ওই নাবালিকা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। তার পরেই কাদার মধ্যে থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, মেয়েটিকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ওই নাবালিকাকে যৌন নিপীড়ন করে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য দেহটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃতার শরীরে সাতটি গভীর ক্ষত রয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নয়পায় সিংহ এই প্রসঙ্গে বলেন, “পুলিশ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিষয়টি দেখছে। পুলিশ আধিকারিকেরা গোটা তদন্তপ্রক্রিয়ায় নজরদারি চালাচ্ছেন। পুলিশ এবং ফরেন্সিক দল যৌথ ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। ওই এলাকায় কারা অপরাধচক্রের সঙ্গে যুক্ত, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। জুন মাসে উত্তরপ্রদেশেরই ফিরোজ়াবাদ জেলায় এমনই এক নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।