গাই ব্লুফোর্ড —ফাইল চিত্র।
৪০ বছর আগের একটি ছবি প্রকাশ করে ইতিহাসের একটি বিশেষ মুহূর্তকে কুর্নিশ জানাল নাসা। ১৯৮৩-র ৫ সেপ্টেম্বর তোলা ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ ভাসমান অবস্থায় কোনও যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করছে। ভাসমান, কারণ তিনি রয়েছেন চ্যালেঞ্জার মহাকাশযানে। তিনিই প্রথম অশ্বেতাঙ্গ মহাকাশচারী গাই ব্লুফোর্ড। ছবিটি তোলার দিন কয়েক আগে, ৩০ অগস্ট, মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন ব্লুফোর্ড।
সেই ঐতিহাসিক সফরকে স্মরণে রেখে ব্লুফোর্ডকে সম্মান জানালেন নাসা প্রধান বিল নেলসন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজ়িয়ামের অ্যাডভাইজ়রি বোর্ডে নিয়োগ করেছেন। তা ছাড়া, অগস্ট মাস জুড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্লুফোর্ডকে সম্মান জানিয়েছে। ২৮ অগস্ট ওহায়োর ‘গ্রেট লেকস সায়েন্স সেন্টারে’ সে রকমই একটি অনুষ্ঠানে ৮০ বছর বয়সি ব্লুফোর্ড জানান যে তিনি আশা করেন, আরও অনেক কৃষ্ণাঙ্গ এ দেশের মহাকাশ গবেষণায় অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ৩০০ জন মহাকাশচারীকে পাঠিয়েছে নাসা। তার মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা ২০-রও কম।
১৯৭৮-এর ক্লাস থেকে ‘মিশন স্পেশালিস্ট’ হিসেবে ব্লুফোর্ড এসটিএস-৮ শাটলে মহাকাশে যাত্রা করেন। তার পরে তিন বার এসটিএস-৬১এ, এসটিএস-৩৯ এবং এসটিএস-৫৩ মিশনে মহাকাশে গিয়েছেন তিনি, কাটিয়েছেন প্রায় ৬৯০ ঘণ্টা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, এসটিএস-৮ মহাকাশযানটি-র সঙ্গে ভারতবর্ষের মহাকাশযাত্রা বিশেষ ভাবে যুক্ত। ইনস্যাট ১বি, ভারতের প্রথম উপগ্রহ যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরাসরি দূরদর্শন সম্প্রচার করত এবং অতি প্রয়োজনীয় আবহাওয়া বিষয়ক এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সতর্কতা দিত, তাকে নিজের কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছিল এসটিএস-৮।
প্রসঙ্গত, এ বছরই আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছুঁয়েছে নাসা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ছ’মাস কাটিয়ে ফিরেছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা— জেসিকা ওয়াটকিনস।