নরেন্দ্র মোদী।
সীমান্তে চিনের অতিসক্রিয়তা নিয়ে দু’দেশই অস্বস্তিতে। দুটি দেশেরই নিশানায় চিনের ‘সম্প্রসারণবাদ’। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভিডিয়ো মাধ্যমে দীর্ঘ শীর্ষ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নুয়েন জুয়ান ফুক। শীর্ষ পর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে প্রতিরক্ষা, পরমাণু শক্তি, ওষুধ শিল্পের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে সাতটি চুক্তি সই করল দু’টি দেশ। পাশাপাশি শান্তি এবং সুস্থিতির লক্ষ্যে একটি যৌথ ‘ভিশন ডকুমেন্ট’-ও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ভিয়েতনাম ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে ভারতের চিন্তা ও দর্শন এবং সক্রিয়তার এক জরুরি শরিকও বটে। আমরা ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ককে দেখি এক দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুস্থিতি বজায় রাখা দু’টি রাষ্ট্রেরই সাধারণ লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে। আমাদের অংশীদারি গোটা অঞ্চলে স্থায়ী ভাবে শান্তি আনতে অবদান রাখতে সক্ষম।’’
দুই নেতা যে যৌথ ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ বা ভবিষ্যতের (২০২১-২৩) পথনির্দেশিকা তৈরি করেছে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই পথনির্দেশিকাটি অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য যৌথ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। গোটা বিশ্বকে এটি আমাদের সম্পর্কের গভীরতা সম্পর্কে শক্তিশালী বার্তা দেবে।’’ কূটনৈতিক শিবিরের মতে, গোটা বিশ্ব বলতে এখানে চিনকেই বার্তা দেওয়ার কথা বোঝাতে চাইছে সাউথ ব্লক।
এ দিনের আলোচনায় ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত উদার আন্তর্জাতিক আইনের শাসনকে মান্যতা দেওয়া এক ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। কথা হয়েছে দক্ষিণ চিন সাগর থেকে তেল উত্তোলনের বিষয়টি নিয়েও। ভিয়েতনামের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্প চলছে সেখানে যা চিনের আপত্তির একটি বড় জায়গা।