International news

প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে আজও জেগে রয়েছে রহস্যময় এই দ্বীপনগর!

মহাসাগরের মাঝে রহস্যে মোড়া এই দ্বীপে আসুন ঢুঁ মারা যাক।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:০৬
Share:
০১ ১০

প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে ৯২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রহস্যময় নগর। মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ রূপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অথচ একসময়ে নাকি এই দ্বীপেই নগর বানানো হয়েছিল। বসবাস করতেন অন্তত ১০০০ মানুষ! মহাসাগরের মাঝে রহস্যে মোড়া এই দ্বীপে আসুন ঢুঁ মারা যাক।

০২ ১০

প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে ইয়াপ, চাক, ফোঁপে এবং কসরি অঞ্চল নিয়ে গঠিত আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত স্বাধীন দেশ মাইক্রোনেশিয়া। মাইক্রোনেশিয়ার চারটি অঞ্চলই মোট ৬০৭টি দ্বীপ নিয়ে তৈরি। তার মধ্যে ফোঁপের ৯২টি দ্বীপ নিয়ে ওই নগরের পত্তন হয়েছিল। বিশালাকার ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে এই নগর বানানো হয়েছিল।

Advertisement
০৩ ১০

৯২টি দ্বীপই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। ঐতিহাসিক এই দ্বীপনগরের নাম ছিল ন্যান মাদল। ভেনিস অফ দ্য প্যাসিফিক নামেও ডাকা হয় একে। বিশালাকার ব্যাসাল্ট শিলা দিয়ে গঠিত এই দ্বীপনগরে একসময়ে ১০০০ জন মানুষের বাস ছিল। এখন সেটা পুরোপুরি পরিত্যক্ত। কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে এমন একটা দ্বীপনগর কেন বানিয়েছিলেন কেউ?

০৪ ১০

পুরো নগরটা আজকের যুগের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছেও একটা বিস্ময়। কারণ উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রসামগ্রী না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে মহাসাগর পেরিয়ে এতদূরে ওই বিশালাকার ব্যাসল্ট শিলা নিয়ে গিয়ে নগর বানানো হল, তার কোনও সদুত্তরই তাবড় তাবড় ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে নেই।

০৫ ১০

প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে দ্বীপ জুড়ে যে ব্যাসল্ট শিলার প্রাচীর বানানো হয়েছে কোনও কোনও জায়গায় তার উচ্চতা ২৫ ফুট এবং ১৭ ফুট পুরু দেওয়াল। মানুষের বসবাসের চিহ্ন সারা দ্বীপনগর জুড়ে রয়েছে, কিন্তু আধুনিক মানুষের কোন পূর্বসুরিরা এই নগরে বসবাস করতেন তা এখনও পর্যন্ত জেনে উঠতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।

০৬ ১০

পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই দ্বীপের অনেকটা দূরে ফোঁফের মূল ভূখণ্ডে আগ্নেয়গিরি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অগ্নুৎপাতের ফলে ব্যাসল্ট শিলা ওই অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে উঠে আসে। সেখান থেকেই এই শিলা নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু এত বড় আকারের শিলা কোন পদ্ধতিতে এই জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছিল তা জানা যায়নি।

০৭ ১০

বিজ্ঞানীদের মনে আরও একটি প্রশ্ন রয়েছে এই ঐতিহাসিক দ্বীপনগর নিয়ে। মূল ভূখণ্ড থেকে এত দূরে কেনই বা এত কষ্ট করে এমন একটা নগরের পত্তন করতে গেলেন কেউ?

০৮ ১০

যে ৯২টি দ্বীপ নিয়ে এই নগর, সেগুলোর আকার এবং রূপ সবই প্রায় একই। এমন কথিত রয়েছে, ফোঁপেইয়ান দুই ভাই এই নগর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই প্রবাল দ্বীপ একেবারেই চাষাবাদের অযোগ্য ছিল। চাষযোগ্য করে তোলার জন্য অলিশিপা এবং ওলোশোপা নামে ওই দুই ভাই প্রথম এই দ্বীপে আসেন। তাঁরা চাষবাদের দেবীর আরাধনা শুরু করেন এখানে।

০৯ ১০

এই দুই ভাই সওদেলিওর সাম্রাজ্যের প্রতিনিধি। সাম্রাজ্য বাড়ানোর তাগিদেই তাঁদের এই নির্জন দ্বীপে আসা। তখনই নগরের পত্তন ঘটেছিল। তাঁরা নাকি বিশালাকার উড়ন্ত ড্রাগনের পিঠে চাপিয়ে এই ব্যাসাল্ট শিলা নিয়ে এসেছিলেন। ১৬২৮ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপে ওই সাম্রাজ্যের রমরমা ছিল।

১০ ১০

কিন্তু খাদ্যের অভাব এবং মূল ভূখণ্ড থেকে দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় ক্রমে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে দ্বীপনগরটি। সওদেলিওর সাম্রাজ্যের নিদর্শন এখনও এই দ্বীপনগরের ইতিউতি রয়েছে। যেমন রান্না করার জায়গা, ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে ঘেরা ঘর এমনকি সওদেলিওর সাম্রাজ্যের স্মৃতিসৌধও খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেক রহস্য আজও অধরা রয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement