ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট শুনানিতে উঠল ওয়ারেন হেস্টিংসের প্রসঙ্গ। ফাইল চিত্র
আমেরিকার সেনেটে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের শুনানি চলাকালীন উঠে এল বাংলার নাম। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট শুনানি সাংবিধানিক ভাবে বৈধ কি না তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল সেনেটে। সেই সময়েই ওঠে ব্রিটিশ শাসনের সময় বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের প্রসঙ্গ।
মঙ্গলবার সেনেটে প্রথম শুনানির সময় ট্রাম্পের আইনজীবীরা দাবি করেন যে প্রেসিডেন্টের চেয়ার ছাড়ার পর আর কাউকে ইমপিচ করা যায় না। এই প্রসঙ্গেই ওই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে আসে হেস্টিংসের নাম। সে সময় হাউসের ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার জ্যামি রাসকিন জানিয়ে দেন, আমেরিকান সংবিধানের অনেক ধারণাই ব্রিটেন থেকে ধার করা। এই প্রসঙ্গেই তিনি হেস্টিংসের নাম উল্লেখ করে তিনি জানান, হেস্টিংস ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম স্থপতি ছিলেন। কিন্তু ১৭৮৫ সালে পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার পরে, শাসক থাকাকালীন অপকর্মের অভিযোগে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ ব্রিটিশ শাসক। তার পর ব্রিটেনে হাউস অব কমন্সে তাঁর ইমপিচমেন্টের শুনানিও চলে। হেস্টিংসের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ, জোরজুলুম করে টাকা আদায় এবং বিচারবিভাগকে ব্যবহার করে মহারাজ নন্দকুমারকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। যদিও শেষ পর্যন্ত হাউস অব লর্ডসে সেই সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান হেস্টিংস। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে শুনানির সওয়ালে এ দিন সেই ইতিহাসই সেনেটে তুলে ধরেন রাসকিন।
এই প্রসঙ্গেই রাসকিন বলেন, ‘‘বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল দুর্নীতিপরায়ণ ওয়ারেন হেস্টিংসের ইমপিচমেন্ট উদাহরণ। সংবিধান প্রণেতারা সে বিষয়ে জানতেন এবং তাঁরা ওই ইমপিচমেন্টকে প্রবল ভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন। বাস্তবে এই প্রথায় হেস্টিংসের ওই ঘটনার কথা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়।’’ ওই একই বিষয় ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে মত রাসকিনের। শেষপর্যন্ত অবশ্য ওই শুনানি শুরু করর পক্ষেই রায় দিয়েছে সেনেট।