ফের বিপাকে সইফ। ছবি: সংগৃহীত।
ফের বিপাকে সইফ আলি খান। মঙ্গলবারই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তার মধ্যেই জানা গিয়েছে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিপাকে পড়লেন অভিনেতা। ভোপালে রয়েছে পটৌদী পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি। শীঘ্রই এই সম্পত্তির দখল নিতে পারে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর মাধ্যমে এই সম্পত্তির দখল নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই এই সম্পত্তি দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর ছিল স্থগিতাদেশ। ২০২৪-এর ডিসেম্বরে হাই কোর্টের তরফ থেকে সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। এমনিতেও এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফলে এ বার পটৌদীদের ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি দখলের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ সরকারের কোনও বাধা রইল না। তাই নবাব মনসুর আলি খান পটৌদীর সম্পত্তির দখল যে কোনও মুহূর্তে নিতে পারে সরকার। এই জমির ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে বিক্রিও হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান। সইফ তাঁরই প্রপৌত্র। হামিদুল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকে পটৌদীদেরই অধিকার ছিল ভোপালের সম্পত্তির উপরে। কিন্তু এই জমি চলে আসে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর আওতায়। সেই আইনের ভিত্তিতেই এই জমি দখল করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনা থেকেই সইফের অনুরাগীদের অনুমান, সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না অভিনেতার। গত সপ্তাহেই তাঁর বাড়িতে মধ্যরাতে হামলা করে এক দুষ্কৃতী। চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই শরিফুল নামের এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েছিলেন। সইফ বাধা দিতে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন শরিফুল। ছ’বার ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করেন অভিনেতাকে। অবশেষে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সইফ।