Myanmar Violence

বিদ্রোহীদের রুখতে মরিয়া মায়ানমারের জুন্টা! জোর করে রোহিঙ্গাদের ধরে ভর্তি করানো হচ্ছে সেনায়

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর রিপোর্ট বলছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ২৩:৩৬
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাত্র কয়েক বছর আগেই তাঁদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ জাতিদাঙ্গায় মদত দিয়েছিল মায়ানমার সেনা। প্রাণ বাঁচাতে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমকে পালাতে হয়েছিল দেশ ছেড়ে। এ বার বিদ্রোহীদের বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে সেই ‘ব্রাত্য’ রোহিঙ্গাদেরই জোর করে দলে টানছে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার!

Advertisement

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর রিপোর্ট বলছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে! তাঁদের মধ্যে অধিকাংশকেই গ্রাম থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেনাশিবিরে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের প্রশিক্ষণের পরে রাখাইন প্রদেশে সক্রিয় বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতি নিয়েছে মায়ানমারের জুন্টা সেনা। গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের ‘সক্ষম’ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে চলতি বছরের গোড়়াতেই জারি হয়েছিল সরকারি নির্দেশিকা। আর সেই ‘সক্ষম’দের তালিকায় রয়েছেন জাতিদাঙ্গায় ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা যুবকেরাও।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। তার পরে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ), রাখাইন প্রদেশে সক্রিয় সশস্ত্র জনজাতি বাহিনী আরাকান আর্মি-সহ আরও কয়েকটি জনজাতি সংগঠন সেই বিদ্রোহে শামিল হয়েছে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের বড় অংশ দখল করেছে বিদ্রোহী জোট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement