ডমিনিকায় আপাতত হাসপাতালেই আছেন মেহুল।
পিনএনবি প্রতারণা মামলয় অভিযুক্ত মেহুল চোক্সীকে ভারতে পাঠানো হোক। আদালতে এমনটাই জানালেন ডমিনিকার সরকারি আইনজীবী। মেহুলের আবেদন না শোনার আর্জিও করা হয়েছে সরকারি আইনজীবীর তরফে। ভারতের তরফ থেকেও আলাদা করে মেহুলের ফেরানোর বিষয়ে আবেদন করা হচ্ছে।
পুলিশের হেফাজতে থাকলেও আপাতত হাসপাতালে আছেন মেহুল। তাঁর আইনজীবীদের অভিযোগ, মেহুলকে অ্যান্টিগা থেকে অপরহণ করে ডমিনিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডমিনিকার প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মেহুল অন্য পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি ডমিনিকা হয়ে কিউবা পালিয়ে যাওয়ায় ছক কষেছিলেন। সেই কারণেই প্রথম থেকে মেহুলকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সওয়াল করছে ডমিনিকা ও অ্যান্টিগা।
যদিও মেহুলের আইনজীবীদের দাবি, ডমিনিকায় বেআইনি অনুপ্রবেশের যে ধারায় মেহুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে গ্রেফতারির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে আদালতে পেশ করার কথা যা করা হয়নি। হাই কোর্টে মেহুলের আইনজীবীরা তাই এই আবেদন করেছেন। যদি আদালত এই আবেদন শোনে, তা হলে মেহুলকে অ্যান্টিগা ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে পরবর্তী শুনানি চলতে পারে। ইতিমধ্যেই ডমিনিকায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতের সিবিআই, ইডি-র একটি দল। মেহুলকে ফেরাতে তারাও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে তত্ত্বাবধানের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের দাবি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পেয়েছেন মেহুল, তাই তাঁকে ভারতে ফেরানোর অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ মেহুল এখনও ভারতেরই নাগরিক। এই নাগরিকত্বের বিষয়েও পাল্টা সওয়াল করেছেন মেহুলের আইনজীবী। তিনি বলেছেন, ভারতের সংবিধানেই আছে, কোনও ভারতীয় নাগরিক অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব নিলে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব হারাবেন। সেই বিচারে ভারতের আবেদন শোনার কোনও সুযোগ নেই।