ছোটবেলা থেকেই ব্রিটনির বিরাট ভক্ত ব্রায়ান। ছবি টুইটার।
দেখে মনে হবে তিনি যেন পপ গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। কিন্তু আদতে তিনি তা নন। মনে হতে পারে, ব্রিটনির মতোই দেখতে তিনি। যাকে বলে কি না ‘লুক অ্যালাইক’। অর্থাৎ, একই রকম দেখতে দু’জনকে। হ্যাঁ, তাঁকে ব্রিটনির মতোই দেখতে খানিকটা। কিন্তু এটা সহজাত ভাবে নয়। মানে, তাঁকে যাতে ব্রিটনির মতোই দেখতে লাগে সে জন্য কৃত্রিম পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। সেই প্রচেষ্টায় খানিকটা সফলও হয়েছেন। আর এ জন্য খরচ করেছেন এক কোটিরও বেশি টাকা।
তবে তিনি মহিলা নন। আদতে পুরুষ। নাম ব্রায়ান রে। ছোটবেলা থেকেই ব্রিটনির বিরাট ভক্ত তিনি। আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস নিবাসী ব্রায়ান স্বপ্ন দেখতেন তাঁকেও যেন ব্রিটনির মতো দেখায়। ব্রিটনির প্রতি এতটাই মজে তিনি যে, শেষমেশ তাঁরই মতো নিজের চেহারা গড়তে ‘প্লাস্টিক সার্জারি’ করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
এ জন্য তাঁর পরিবারের সমর্থনও পেয়েছেন তিনি। ব্রায়ান থেকে ব্রিটনির মতো হয়ে ওঠার যাত্রাপথে তাঁর মা তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। বর্তমানে তাঁরও ব্রিটনির মতো চুল। সেই চেনা হাসি। ব্রিটনির মতোই তাঁর মুখাবয়ব। ১০০টিরও বেশি ‘কসমেটিক সার্জারি’ করিয়েছেন ওই যুবক।
এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ এক সংবাদমাধ্যমকে ব্রায়ান বলেছেন, ‘‘১৭ বছর বয়স থেকে চেষ্টা করছি ব্রিটনি হয়ে উঠতে। এখনও সেই কাজ শেষ হয়নি। যখন আয়নায় নিজেকে দেখি, খুব আনন্দ পাই। নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, আমায় কি নিখুঁত লাগছে? তার পর মনে হয়, না।’’
ব্রিটনি সেজে থাকার জন্য তাঁকে অনেক কসরতও করতে হয়। চামড়া টান টান রাখতে প্রতি ছয় মাস অন্তর বোটক্স করাতে হয় ব্রায়ানকে। আট থেকে ১০ সপ্তাহ অন্তর শরীরের অবাঞ্ছিত লোম সরাতে ‘হেয়ার রিম্যুভাল সার্জারি’ করতেও হয় তাঁকে। তবে তাঁর ব্রিটনি হয়ে ওঠার পথটা কখনই মসৃণ ছিল না। শারীরিক ধকল তো আছেই, সেই সঙ্গে পাড়াপড়শিদের সমালোচনা। তবে তিনি এ সবকে পাত্তা দেননি।
যাঁর জন্য এত কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সেই ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সঙ্গে বেশ কয়েক বার দেখাও হয়েছে ব্রায়ানের। তাঁর কথায়, ‘‘ব্রিটনি আমায় যা বলেছেন, সে কথাগুলি আজীবন আমার অন্তরে থাকবে। উনি এত বিখ্যাত মানুষ, কিন্তু সে রকম হাবভাব দেখান না। আমি সারাজীবন ওঁর ভক্ত হয়ে থাকব।’’