এই বিলাসবহুল হোটেলই কিনেছেন সাইমন সিও। ছবি: সংগৃহীত।
সামনে গগনচুম্বী বিলাসবহুল হোটেল। ঘাড় উঁচু করে সেই হোটেল দেখতেন, আর ভাবতেন কবে সেখানে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু ছোট্ট ছেলেকে কে-ই বা পাত্তা দেবে বিলাসবহুল এই হোটেলে। এমন নানা রকম চিন্তাভাবনা ঘুরত তাঁর মাথায়। এক দিন সাহসে ভর করে সটান সেই হোটেলে ঢুকে পড়েছিল সেই ছোট ছেলেটি। কিন্তু তাকে রীতিমতো অপমান করে হোটেল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল।
সে দিনের কথা আজও মনে পড়ে সাইমন সিওর। কিন্তু সে দিন বিতাড়িত হওয়ার পর একটি জেদ নিয়েই হোটেল থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এক দিন এই বিলাসবহুল হোটেলের মালিক হবেন। হলেনও তাই। ম্যাকাওয়ের ঘটনা। সিওর বয়স এখন ৬৫। ম্যাকাওয়ের সেই বিলাসবহুল হোটেলের কর্ণধার। সংবাদমাধ্যম সিএনএকে সিও জানিয়েছেন, সাত বছর ধরে এই হোটেল কেনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শতবর্ষ পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই হোটেলকে কী ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
কিন্তু সেই বাধার মুখে পড়েও পিছপা হননি সিও। হোটেলের ঐতিহ্যের ছোঁয়া বজায় রেখে মেরামতির কাজ শুরু করেন। ১১৪টি ঘর রয়েছে এই হোটেলে। ১৯২৮ সালে ম্যাকাওয়ের অন্যতম সেরা এই হোটেল চালু হয়। ১৯৬০ সালে ওই হোটেলে ঢুকে পড়েছিলেন সিও। তাঁর দাবি, সেই সময় তাঁকে হোটেল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ইমারত নির্মাণ সংস্থার মালিকসিও। ১৯৯১ সালে এই সংস্থাটি খোলেন তিনি। তার পরই ম্যাকাওয়ের ঐতিহ্যবাহী হোটেল কেনার লড়াই শুরু হয় সিওর। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সেই চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি। অবশেষে সেই হোটেলের মালিকানা লাভ করেন তিনি।