Malaysia Flight 370

‘গণহত্যা’র পরিকল্পনা করে চালকই সমুদ্রে ফেলে দেন? নয়া মোড় মালয়েশিয়ার বিমান অন্তর্ধান রহস্যে

ব্রিটিশ বিমান পরিষেবা বিশেষজ্ঞ সাইমন হার্ডি দাবি করেছেন, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ বা এমএইচ ৩৭০ বিমান অন্তর্ধান হওয়ার নেপথ্যে তার চালকের ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনিই গণহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ১৬:২০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ঠিক ১০ বছর আগে মালয়েশিয়ার এক যাত্রিবাহী বিমান অন্তর্ধান রহস্যের কিনারা এখনও হয়নি। এই আবহেই অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে এক জন বিমান পরিষেবা বিশেষজ্ঞের মতামত প্রকাশ্যে এল। যা রহস্যের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

ব্রিটিশ বিমান পরিষেবার বিশেষজ্ঞ সাইমন হার্ডি দাবি করেছেন, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ বা এমএইচ ৩৭০ বিমান অন্তর্ধান হওয়ার নেপথ্যে তার চালকের ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনিই গণহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

নিউ ইয়র্ক পোস্ট তার এক প্রতিবেদনে সাইমনকে উদ্ধৃতি করে জানিয়েছে, এমএইচ ৩৭০-এর পাইলট ক্যাপ্টেন জ়াহারি আহমেদ শাহই সকলকে হত্যা করার ছক কষেছিলেন। তিনি নিখুঁত ভাবে বিমানটিকে সমুদ্রের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন। কেন জ়াহারি এমন করলেন তার ব্যাখ্যাও করেছেন সাইমন। তিনি বলেন, ‘‘জ়াহারির মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক ছিল না হয়তো! সেই কারণেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন।’’

Advertisement

সাইমনের মতে, তাঁর তত্ত্বটি বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা। কী কী তথ্য নেওয়া হয়েছে তা-ও বলা হয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে। এমএইচ ৩৭০ টেক অফের সময় বিমান চালক ককপিটে অতিরিক্ত অক্সিজেন চাওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও বিমানে অতিরিক্ত জ্বালানির চাহিদাও করেছিলেন জ়াহারি।

‘দ্য সান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইমন বললেন, ‘‘জ়াহারি বিমানের জন্য অতিরিক্ত জ্বালানি এবং অক্সিজেন চেয়েছিলেন। ওই বিমানে যা জ্বালানি এবং অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল, তাতে নির্ধারিত সময়ের পরেও আরও সাত ঘণ্টা আকাশে থাকতে পারত। এমনকি, বিমানটি সমুদ্রে অবতরণ করানোর আগে যাত্রী এবং বিমানকর্মীরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’’ যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই সব দাবির সত্যতা যাচাই করেনি।

উল্লেখ্য, এমএইচ ৩৭০ বিমানটি নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার পর কুড়িটিরও বেশি দেশ সেই বিমান খুঁজে বার করতে তৎপর হয়েছিল। তবে লাভ তেমন কিছুই হয়নি। প্রায় ১৬ দিন ধরে খোঁজার পরে ২৪ মার্চ মালয়েশিয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, চিন যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে বিমানটি সমুদ্রে ভেঙে পড়ে। যাত্রীরা কেউ বেঁচে নেই বলেও মালয়েশিয়ার সরকার জানিয়েছিল। ওই বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগ ছিলেন চিনের বাসিন্দা। সে দেশের সরকার জানিয়েছিল, উপগ্রহচিত্র দেখে জানা গিয়েছে, সমুদ্রে পতনের আগে বিমানটি টানা সাত ঘণ্টা ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশের দিকে উড়ে গিয়েছিল। যদিও তার পরও বিমানটির খোঁজে ভারত মহাসাগরের এক লক্ষ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় তিন বছর ধরে অনুসন্ধান অভিযান চালানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ২০২৭ সালে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement