বরিস জনসন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা পুনরায় জানাল ব্রিটেন। দিল্লি হিংসার বিষয়টি গত কাল উঠেছিল হাউস অব কমন্সে। এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং ঘটনার উপর নজরও রাখছেন।
দিল্লি হিংসায় প্রাণহানি এবং সম্পত্তিহানি নিয়ে বিরোধী দল লেবার পার্টির সদস্য পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খালিদ মাহমুদ গত কাল হাউস অব কমন্সে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে বিদেশ ও কমনওয়েলথ অফিসের প্রতিমন্ত্রী নাইজেল অ্যাডাম বলেন, ‘‘মানবাধিকার-সহ সব বিষয় নিয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। ব্রিটিশ সরকার সিএএ-র সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।’’ নয়াদিল্লির সঙ্গে লন্ডনের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে অ্যাডাম বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। ফলে আমরা অনেক জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারি। সংখ্যালঘুদের অধিকার-সহ যে সব বিষয় নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে, তা জানাব।’’ আর এক পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি নুসরত গনি আবেদন জানিয়েছেন, সরকার যেন এ বিষয়ে ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
লেবার পার্টির ব্রিটিশ-শিখ এমপি তনমনজিৎ সিংহ দেশি জানিয়েছেন, দিল্লির অশান্তির ঘটনা তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে ১৯৮৪ সালের শিখ হিংসার দিনগুলিকে। ওই সময় তিনি কলেজ-পড়ুয়া ছিলেন।