আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল কুয়েতে। —প্রতীকী চিত্র।
একসঙ্গে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল কুয়েত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন এক কুয়েতি এবং এক ইথোয়োপিয়ার মহিলা। এ ছাড়াও ছিলেন এক পাকিস্তানি যুবক, এক সিরিয়ার নাগরিক। বাকিরা কুয়েতেরই বাসিন্দা। বস্তুত, ২০১৭ সালের পর প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল কুয়েতে। একাধিক মানবাধিকার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আবেদন খারিজ করে বুধবার মোট ৭ জনকে ফাঁসিতে চড়াল এই রাজতান্ত্রিক দেশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একটি খুনের মামলায় মোট ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার এই অন্যতম উদার রাষ্ট্র। এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল কুয়েতে। সে বারও ৭ জনের ফাঁসি হয়েছিল। যার মধ্যে ছিলেন রাজবংশের এক জন।
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগে হেরোইন পাচারের অভিযোগে দুই পাকিস্তানি নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরব। তিন বছর ধরে ওই মামলা চলছিল। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানবাধিকার সংগঠনের তরফে আর্জি এসেছিল যাতে মৃত্যুদণ্ড রত হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি সৌদি আরব। মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি বিবৃতি মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা এই মৃত্যুদণ্ডকে ‘নিষ্ঠুর’, ‘অমানবিক’ এবং ‘বিচারের অধঃপতন’ বলে আখ্যা দেয়।
যদিও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি, বিশেষ করে ইরান এবং সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড বহুল প্রচলিত বলা যায়। ইরান এবং সৌদি আরবে এক দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ১৯৬০ সালের পর থেকে কুয়েতেও বিভিন্ন অপরাধে প্রাণদণ্ড কার্যকর হয়েছে।