ফাইল চিত্র।
বিপাকে পড়ে মোক্ষম চাল দিলেন ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির অন্যতম নেতা কায়ার স্টার্মার। লকডাউন বিধিভঙ্গে অভিযুক্ত স্টার্মার আজ সাংবাদিকদের ডেকে ঘোষণা করলেন, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ যদি আইনি নোটিস (ফিক্সড পেনাল্টি নোটিস) পাঠায়, তা হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবিতে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন স্টার্মার। বরিসের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছিল এই ফিক্সড পেনাল্টি নোটিস। লকডাউন বিধি ভেঙে পার্টি করায় দোষী সাব্যস্ত বরিসের জরিমানাও হয়েছে। তার পরেই গত রবিবার স্টার্মারের বিরুদ্ধে লকডাউন বিধিভঙ্গের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, গত বছর এপ্রিলে উপনির্বাচনের প্রচার চলাকালীন কোভিড বিধি ভেঙে এক এমপি-র অফিসে বিয়ার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন স্টার্মার। ডারাম পুলিশ এর তদন্ত শুরু করেছে।
যে অভিযোগের ফলায় এত দিন স্টার্মার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে এসেছেন, এ বার তাঁর বিরুদ্ধেই সেই অভিযোগ ওঠায় ফাঁপরে পড়েছেন লেবার নেতা। লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, বিষয়টির মোকাবিলায় দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্টার্মার। তার পরে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘‘আমি কোনও নিয়মভঙ্গ করিনি। পুলিশ যদি আমার বিরুদ্ধে ফিক্সড পেনাল্টি নোটিস দেয়, তা হলে আমি পদত্যাগ করব। বিষয়টি দায়বদ্ধতার।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফিক্সড পেনাল্টি নোটিস জারি করেছে পুলিশ। কর্মক্ষেত্রে কোভিড-বিধি ভাঙায় অন্তত ৫০টি জরিমানা জারি হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ তিনি পদত্যাগ করেননি।’’
স্টার্মারের দাবি, তিনি বরিসের মতো বিধি ভেঙে পার্টি করেননি। নির্বাচনী প্রচার শেষে এমপি-র দফতরে খাওয়া-দাওয়া সেরেছিলেন। অন্য পাঁচটা দিনের থেকে সে দিনটা আলাদা ছিল না। স্টার্মারের দাবি, কোভিড কালে অন্তত ১০ বার বিচ্ছিন্নবাসে ছিলেন তিনি। এমনকি শাশুড়ি মারা গেলেও তিনি শ্বশুরের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেননি। বিরোধী নেতার মন্তব্য, ‘‘মানুষ ভাবেন সব রাজনীতিবিদ এক। কিন্তু আমি বরিসের মতো নই। পুলিশ ওই নোটিস পাঠালে আমি পদত্যাগ করব।’’
দলের মুখরক্ষায় যে অভিনব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্টার্মার, বাস্তবে তা কতদূর গড়ায়, তা দেখতে তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় ব্রিটেনবাসী।