—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্যালাইন-কাণ্ডে এ বার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আরএমও সৌমেন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। সোমবার সকালে তিনি ভবানী ভবনে আসেন। প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ, রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিক্যাল কলেজের আরএমও সৌমেনও সেই তালিকায় ছিলেন। পরে সৌমেনের পাশাপাশি হাসপাতালের সুপার এবং এক জুনিয়র ডাক্তারকেও সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের নামে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। অভিযোগ করেন জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। দায়ের হয় এফআইআরও। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার।
স্যালাইনের কারণে প্রসূতিমৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকে একাধিক বার মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়েছে সিআইডি-র দল। এর আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালের দুই সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক এবং দিলীপ পালকে তলব করেছিল সিআইডি। অভিযোগ, ঘটনার দিন এই দুই চিকিৎসকেরই ডিউটি ছিল মেদিনীপুর মেডিক্যালে। কিন্তু তাঁরা আসেননি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার সমন পাঠিয়ে তাঁদের ভবানী ভবনে ডাকেন গোয়েন্দারা। ঘটনার দিন তাঁরা ডিউটিতে ছিলেন কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করে সিআইডি।
এ ছাড়া, ঘটনার দিন ডিউটিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের ইতিমধ্যেই বার কয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। শুধু জুনিয়র ডাক্তার নন, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের সুপার, অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধানদেরও সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। যে স্যালাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই স্যালাইনের নমুনার পাশাপাশি বেশ কিছু ওযুধের নমুনাও পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সেই আবহেই এ বার মেদিনীপুর মেডিক্যালের আরএমওকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।