ফাইল চিত্র।
এখনও আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না। কিন্তু নানা দিক বিবেচনা করে খুব দ্রুত সেখানে নমো নমো করে ভারতীয় দূতাবাস ফের খুলতে উদ্যোগী হয়েছিল সাউথ ব্লক।
বিদেশ মন্ত্রকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাবুলে গিয়ে সরেজমিনে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেও এসেছিল। কিন্তু কাবুলের গুরুদ্বারে বিস্ফোরণের ঘটনার পরে, দূতাবাস খোলার প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল বলেই জানা যাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র থেকে।
তবে এ ব্যাপারে তালিবানের সঙ্গে ভারতীয় নেতৃত্বের কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তালিবানের দাবি, তাদের কাছে নাশকতার আগাম খবর ছিল বলেই নিহতের সংখ্যা দুইয়ে আটকানো গিয়েছে। নয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত বলে তারা আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, হামলার পিছনে থাকা আইএস-খোরাসান গোষ্ঠী পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগ রেখেই এই কাজ করেছে। শুধুমাত্র নয়াদিল্লি নয়, কাবুলকেও বার্তা দেওয়া ছিল তাদের উদ্দেশ্য। আফগানিস্তানে ভারতের ফের প্রবেশ করা নিয়ে তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে কথা শুরু করার সঙ্গে এই হামলার সংযোগ রয়েছে বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক।
সূত্রের খবর, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, লস্কর-ই তইবা, জামাত উদ দাওয়া, বা আইএস-এর মতো সংগঠন যাতে আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভারত-বিরোধী নাশকতা করতে না পারে, তার জন্য সক্রিয় তারা।
সূত্রের খবর, তালিবানের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, নয়াদিল্লিতে তাদের দূতাবাসে দু’জনকে নিয়োগ করা হোক। কিন্তু সেই প্রস্তাবে স্বাভাবিক ভাবেই সম্মত হয়নি মোদী সরকার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।