ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল ছবি।
আবার জরিমানার মুখে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঋণ পাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক নথিতে জালিয়াতির পরে এ বার আদালত অবমাননার অভিযোগে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের একটি আদালত পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় বিচার বিভাগের নির্দেশ না মেনে মুখ খোলার অভিযোগে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ন’হাজার ডলার (প্রায় সাত লক্ষ ৫১ হাজার টাকা) জরিমানা করেছে।
শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্নতারকা স্টর্মিকে এক লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে। এ বিষয়ে মুখ খোলার বিষয়ে আদালত কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছিল হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের উপর। কিন্তু বিচারক জুয়ান এম মারচন জানিয়েছেন, ট্রাম্প তার বাক্স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ১০ দফা আদালত অবমাননার অভিযোগের মধ্যে ন’টি ক্ষেত্রেই প্রমাণ মিলেছে।
আদালতের আদেশ ছিল, ট্রাম্প যেন প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষী, বিচারক, আদালতের কর্মী এবং তাঁদের আত্মীয়-পরিজনেদের আক্রমণ না করেন। কিন্তু তা মানেননি তিনি। ভবিয্যতে আবার এমন কাজ করলে ট্রাম্পকে জেলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, পর্নতারকা স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তাঁর ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন বলেও অভিযোগ। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছিলেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কম সুদে বেশি ঋণ পেতে নিজের নির্মাণ ব্যবসার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে অনেকটা বেশি দেখানোর অভিযোগে ট্রাম্পকে নিউ ইয়র্কের আদালতে জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছিল।