শেষ মুহূর্তেও বাইডেনের সঙ্গে সঙ্ঘাত জিইয়ে রাখছেন ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরই হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর জায়গায় আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। তবে তার আগেও দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। এ বার তাতে নয়া সংযোজন অতিমারি। ইউরোপ এবং ব্রাজিল থেকে আসা যাত্রীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর সেই ঘোষণা খারিজ করে দিল বাইডেন শিবির।
আমেরিকায় মোট কোভিড সংক্রমণ ২ কোটি ৪০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। দৈনিক সংক্রমণ এখনও ১ থেকে ২ লক্ষের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে সেখানে। সেই পরিস্থিতিতে ইউরোপ এবং ব্রাজিলের মতো বেশ কিছু দেশ থেকে পর্যটকদের আগমন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলে সম্প্রতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ইউরোপ এবং ব্রাজিল থেকে আমেরিকায় প্রবেশে আর বাধা থাকবে না। তবে চিন ও ইরানের উপর আগের মতোই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাই খারিজ করে দিয়েছেন বাইডেনের মুখপাত্র জেন সাকি। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই নেই প্রশাসনের। বরং জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখাই আমাদের লক্ষ্য। তাই বিদেশি পর্যটকদের উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এটা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আদর্শ সময় নয়’।
এর আগে, আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)ও এ নিয়ে সতর্ক করেছিল। তারা জানিয়েছিল, রওনা দেওয়ার ৩ দিনের মধ্যে বিদেশফেরত সমস্ত যাত্রী এবং বিদেশি পর্যটকদের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে। তবেই এ দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত তাঁদের।
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিচ্ছেন বাইডেন। তবে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না ট্রাম্প, গত ১৫২ বছরে যা কখনও ঘটেনি। শুরু থেকেই নির্বাচনী ফলাফল মানতে অস্বীকার করে আসছেন ডন। এখনও পর্যন্ত বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেননি তিনি। এমনকি প্রথা মেনে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু করেননি।