(বাঁ দিক থেকে) জো বাইডেন, স্ত্রী হেলেনের সঙ্গে নিহত কোরে কমপেরেটর এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত।
বছর কুড়ির আততায়ী টমাস ম্যাথু ক্রুক শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেও তাঁর গুলি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে রিপাবলিকান দলের সমর্থক, বছর পঞ্চাশের কোরে কমপেরেটরেরও। তা ছাড়াও আহত হয়েছেন দু’জন। কিন্তু নিহত প্রৌঢ়ের স্ত্রী হেলেন কমপেরেটরের অনুযোগ, এত কিছুর পরেও সমবেদনা জানাতে একটা ফোন পর্যন্ত করেননি ‘প্রিয় নেতা’ ট্রাম্প। অবশ্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোন করেছিলেন। কিন্তু সেই ফোন না ধরে কেটে দেন নিহত কোরের স্ত্রী। কেন তিনি বাইডেনের ফোন ধরেননি, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন হেলেন।
হেলেন ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’কে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী চাইতেন না যে তিনি বাইডেনের মতো এক জন ডেমোক্র্যাটের সঙ্গে কথা বলুন। হেলেনের কথায়, “আমি বাইডেনের সঙ্গে কথা বলিনি। কারণ, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইনি। আমার স্বামী এক জন একনিষ্ঠ রিপাবলিকান। তিনি চাইতেন না আমি বাইডেনের সঙ্গে কথা বলি।” স্বামীর মতো রাজনীতিতে খুব বেশি উৎসাহ নেই হেলেনের। তবে ট্রাম্পকে পছন্দ করেন তিনিও।
গত শনিবার পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলি। রক্তাক্ত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। আততায়ীর গুলি থেকে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে আগলে দাঁড়ান কোরে। হেলেন বলেন, “গুলি চলার সময় কোরে আমাদের বলল, নিচু হও। তার পর সব শেষ।”
দলীয় সমর্থকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই ট্রাম্প কোরের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে নিজের সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের তরফে থেকে কোনও ফোন আসেনি নিহতের স্ত্রী কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে। বাইডেন ফোন করলেও স্বামীর কথা মাথায় রেখে তা ধরেনি হেলেন। তবে নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, বাইডেনের প্রতি তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ, বাইডেন তাঁর বা তাঁর পরিবারের কারও কোনও ক্ষতি করেননি।