কন্যাসন্তানের পড়াশোনা সংক্রান্ত খরচ নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।
বাবা-মায়ের থেকে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ পাওয়া মেয়েদের অধিকার। এই অধিকার অনস্বীকার্য, আইনসিদ্ধ এবং বৈধ। কন্যাসন্তানের পড়াশোনার জন্য নিজেদের সাধ্যমতো খরচ দিতে বাধ্য বাবা-মা। সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁঞার বেঞ্চে বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক মামলা চলছিল। ওই দম্পতির কন্যা আয়ারল্যান্ডে পড়াশোনা করে। স্ত্রীকে দেওয়া খোরপোশের মধ্যে ৪৩ লক্ষ টাকা মেয়ের পড়াশোনার জন্য দিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন দম্পতির কন্যা। মামলার শুননিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মেয়ে হিসাবে পড়াশোনার জন্য বাবা-মায়ের থেকে খরচ নেওয়া তাঁর অনস্বীকার্য, আইনসিদ্ধ এবং বৈধ অধিকার। আদালতের মতে, দম্পতির কন্যার পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার মৌলিক অধিকার রয়েছে। তার জন্য সাধ্যমতো টাকা দিতে হবে বাবা-মাকে।
তবে এই মামলার ক্ষেত্রে বাবার দেওয়া টাকা নিতে রাজি নন তাঁর কন্যা। মেয়ের বক্তব্য, নিজের সম্মানের খাতিরে তিনি ওই টাকা নিতে রাজি নন। ওই ৪৩ লক্ষ টাকা তিনি বাবাকে ফেরত নিয়ে নিতে বলেছেন। কিন্তু বাবা রাজি হচ্ছেন না। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই টাকা দম্পতির কন্যার অধিকার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই কন্যাসন্তানের বাবা কোনও জরুরি কারণ ছাড়াই টাকা খরচ করেছেন। সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় তাঁর সেই সামর্থ্য রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাবার দেওয়া টাকা রেখে দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে কন্যা সন্তানের। ওই টাকা তাঁর বাবাকে বা মাকে ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এ বার তিনি যা মনে করেন, তা করতে পারেন।
বস্তুত, গত নভেম্বর ওই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেই সময় খোরপোশ হিসাবে মোট ৭৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন স্বামী। যার মধ্যে ৩০ লক্ষ স্ত্রীর জন্য এবং বাকি ৪৩ লক্ষ মেয়ের পড়াশোনার জন্য।