প্রতীকী চিত্র।
বাডওয়াইজার বিয়ার কোম্পানির এক কর্মী নাকি প্রায় ১২ বছর ধরে কারখানার বিয়ারের ট্যাঙ্কে প্রস্রাব করেছেন। ওই কর্মী ওয়াল্টার (পরিবর্তিত নাম) নিজেই নাকি এ কথা জানিয়েছেন। ‘ফুলিশ হিউমার’ নামে এক পোর্টালে এই খবর প্রকাশ পায়। খবর প্রকাশের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হয়ে যায়।
ফুলিশ হিউমার-এ দাবি করা হয়েছে ওয়াল্টারের বয়স ৩৪ বছর। তিনি প্রায় ১২ বছর কাজ বাডওয়াইজারের আমেরিকার ফোর্ট কলিন্স-এর কারখানায়। সেখানেই তিনি এই কীর্তি করেছেন। তিনি নাকি কোয়ালিটি টেস্ট হয়ে যাওয়ার পর এই কাজ করতেন, ফলে কোনও দিন কারও সন্দেহও হয়নি। কোয়ালিটি টেস্টের পর বিয়ার বোতলবন্দি হওয়ার ঠিক আগের ধাপে তিনি বিয়ারের ট্যাঙ্কে প্রস্রাব করতেন।
ওয়াল্টার দাবি করেছেন, তিনি কেবল বাডওয়াইজারের ফোর্ট কলিন্স কারখানাতেই কাজ করেছেন। ফলে বাকি কারখানা থেকে তৈরি বিয়ারে তাঁর প্রস্রাব থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এই কারখানা থেকে বাডওয়াইজারের প্রায় এক চতুর্থাংশ বিয়ার তৈরি হয়। ওয়াল্টার জানিয়েছেন, তিনি যখন বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খেতে যেতেন, সেখানে অন্যরা বাডওয়াইজার বিয়ার অর্ডার করলে তিনি মনে মনে হাসতেন, আর ভাবতেন বেচারা এঁরা সবাই হয়তো তাঁর প্রস্রাব পান করছেন।
আরও পড়ুন: ১০৩ বছর বয়সে করোনাকে হারিয়ে নার্সিংহোমের বেডেই বিয়ারে চুমুক বৃদ্ধার
কিন্তু কেন এই কাজ করতেন? ওয়াল্টারে দাবি, তিনি বড্ড কুঁড়ে ছিলেন। তাই প্রস্রাব করার জন্য ওয়াশরুমে যেতে চাইতেন না, বিয়ারের ট্যাঙ্কেই প্রস্রাব করে দিতেন। আর এত দিন তাঁকে সেই কাজ করতে কেউ লক্ষও করেননি।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যে প্রায় এক দশক পরে দেখা দিল এই লুপ্তপ্রায় ‘ভয়ঙ্কর’ চতুষ্পদ
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাডওয়াইজার ট্রেন্ডিং শুরু হয়ে যায়। এমনকি মিম শেয়ারও শুরু হয়ে যায়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাডওয়াইজারের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি এ সম্পর্কে। যদিও এখানে একটি টুইস্ট রয়েছে, যে পোর্টালে খবরটি প্রকাশ পেয়েছে, তার হোম পেজের একদম নীচের দিকে একটি ঘোষণা রয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এটি একটি মজার পেজ যার মূল লক্ষ্য মনোরঞ্জন করা। ফুলিশ হিউমার-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি কাল্পনিক এবং এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগ নেই’। তাই মনে করা হচ্ছে এটি সত্যি খবর নয়।