গাজ়ার ধ্বংসস্তূপ। —ফাইল চিত্র।
হাসপাতাল চত্বরের চারদিকে পড়ে রয়েছে শুধু বোমার টুকরো। ধোঁয়ায় ছেয়ে রয়েছে চতুর্দিক। বৃহস্পতিবার ভোরে গাজ়ার দু’টি হাসপাতালকে লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইজ়রায়েল। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পশ্চিম গাজ়ার আল-নাসর হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে নিহত হয়েছেন ৩ জন। এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১২ জনের বেশি।
আল-নাসর হাসপাতালের পাশাপাশি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে অন্য একটি হাসপাতাল আল-শিফা মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে। প্যালেস্তিনীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি, আল-শিফা ওই এলাকার সর্ববৃহৎ হাসপাতালের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
আল-শাতি শরণার্থী শিবিরকে লক্ষ করেও বৃহস্পতিবার হামলা করেছে ইজ়রায়েল। ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি গোলাবর্ষণও করা হয়েছে সেখানে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এক মাসের যুদ্ধের বলি গাজ়ার ১০ হাজারেরও বেশি প্যালেস্তিনীয় নাগরিক। আহতের সংখ্যা তার প্রায় দ্বিগুণ। এই পরিস্থিতিতেও ইজ়রায়েলি সেনা ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবিরগুলিতে। জ্বালানি, ওষুধ-সহ অত্যাবশকীয় পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আল কুদ-সহ গাজ়া ভূখণ্ডের চারটি হাসপাতাল তাদের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্র সীমিত করেছে। ফলে চিকিৎসাধীন রোগী বিশেষত ইনকিউবেটরে থাকা শিশু আইসিইউতে চিকিৎসাধীনদের বড় অংশের মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডিজেলের অভাবে গত ৩ নভেম্বর থেকে গাজ়ার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা এবং ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের মূল জেনারেটর বন্ধ রয়েছে। কিন্তু মজুত জ্বালানিও শেষের পথে। ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের বিকল্প জেনারেটরের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার জ্বালানি রয়েছে। গাজ়ার অন্যতম হাসপাতাল আল-কুদস এবং আল-আওয়াদার জ্বালানিও শেষের পথে বলে স্বশাসিত প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।