Israel-Hamas Conflict

বন্দিদের জীবিত ফেরানো হবে না, হামাসের হুমকির পরেই দক্ষিণ গাজ়ায় নতুন করে হামলা ইজ়রায়েলের

গাজ়ায় ক্রমশ ‘কোণঠাসা’ হচ্ছে হামাস। অস্ত্র সমর্পণের ভিডিয়ো প্রকাশ করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর এই দাবির পরের দিনই ইজ়রায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হামাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৬
Share:

ধ্বংসস্তূপ গাজ়া। —ফাইল চিত্র।

ইজ়রায়েলি বন্দিদের জীবিত ফেরানো হবে না। হামাসের এই হুমকির পরেই দক্ষিণ গাজ়ার মূল শহর খান ইউনিসে নতুন করে হামলা চালাল ইজ়রায়েল। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সোমবার সকাল থেকে খান ইউনিস শহরে নতুন করে হামলা চালাতে শুরু করে ইজ়রায়েলি সেনা। অন্য দিকে প্যালেস্টাইনের আর এক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জেহাদের দাবি, ইজরায়েলি সেনা একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ঢুকে সুড়ঙ্গের খোঁজ করার সময়, তারা গোটা বাড়িটিকেই বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছে।

Advertisement

গাজ়ায় ক্রমশ ‘কোণঠাসা’ হচ্ছে হামাস। অস্ত্র সমর্পণের ভিডিয়ো প্রকাশ করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর এই দাবির পরের দিনই ইজ়রায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হামাস। তাদের মুখপাত্র আবু ওবেইদা হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত এক জন বন্দিও গাজ়া থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন না।

রবিবার প্রকাশ্যে টেলিভিশনে হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবেইদা বলেন, “যত ক্ষণ না বন্দি বিনিময় হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, তত ক্ষণ ফ্যাসিবাদী শত্রু, তার অহঙ্কারী নেতৃত্ব এবং তাঁর সমর্থকেরা গাজ়া থেকে এক জন বন্দিকেও জীবিত অবস্থায় বার করে আনতে পারবেন না।” তিনি আরও বলেন, “বর্বর দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। শত্রুপক্ষের লক্ষ্যই হল আমাদের প্রতিরোধ ভেঙে ফেলা। কিন্তু আমরা আমাদের মাটি রক্ষা করতে এই পবিত্র লড়াই চালিয়ে যাব।”

Advertisement

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজ়ায় হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েল। ডিসেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত নিহত প্যালেস্টাইনির সংখ্যা ১৬,২০০। যাদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যা দশ হাজারেরও বেশি। মাঝে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। ১ ডিসেম্বর থেকে ফের যুদ্ধ শুরু হয়। মাঝের ওই এক সপ্তাহে হামাস ১০৫ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। তার মধ্যে ৮০ জন ছিলেন ইজ়রায়েলের। অপর দিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশের তরফ থেকে ২৪০ জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement