ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স।
ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতের আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পুতিনের সঙ্গে কথা বলার সময় রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার ‘ইজ়রায়েল-বিরোধী অবস্থান’ নিয়ে নেতানিয়াহু অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে ইজ়রায়েল সরকার। পাশাপাশি, ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার ‘ক্ষতিকারক’ সহযোগিতা নিয়েও নেতানিয়াহু অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘‘পুতিন কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না এবং তিনি তাঁর নীতিগত অবস্থানে অনড়। একই সঙ্গে, এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, জঙ্গিদের মোকাবিলা করার সময় সাধারণ জনগণের পরিণতির কথাও মাথায় রাখা উচিত।’’ ক্রেমলিন এ-ও জানিয়েছিল, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এবং যুদ্ধের মাত্রা কমাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত পুতিন। এর পর আবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী রবিবার জানান, মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক দলের গাজায় যাওয়া উচিত। ক্রেমলিনের সেই অবস্থান নিয়েই নাকি পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন নেতানিয়াহু।
প্রসঙ্গত, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে রাশিয়া। সেই প্রস্তাবেই শুক্রবার ভেটো দিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকা ভেটো দেওয়ার পর পরই গাজ়ায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইজ়রায়েল। দক্ষিণ গাজ়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর খান ইউনিসে হামলার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, সংঘর্ষ বিরতির সুযোগ নিয়ে সেই শহরেই আশ্রয় নিয়েছে হামাস জঙ্গিরা। বাসিন্দাদেরও দ্রুত এলাকা খালি করার কথা বলা হয়েছে। ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, উত্তর গাজ়ায় বেশ কয়েক জন হামাস সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধ। প্যালেস্টাইন প্রশাসনের দাবি, সেই সংঘাতে এখনও পর্যন্ত ১৭,৭০০ জন প্যালেস্টাইনি মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশেরই বয়স ১৮ বছরের কম।