গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা। — ফাইল চিত্র।
আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নানা দেশ যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছিল। একই পরামর্শ দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনও। কিন্তু উড়িয়ে দিয়ে গাজ়া ভূখণ্ডের দক্ষিণে রাফায় প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের শেষ ঠিকানায় স্থলপথে হামলা শুরু করল ইজ়রায়েলি সেনা।
প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার দাবিতে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা করে সোমবার বিকেল থেকে ইজ়রায়েলি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ির বহর রাফা দখলের অভিযান শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র আশঙ্কা, ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী কয়েক দিনে নারী ও শিশু-সহ বহু সাধারণ প্যালেস্টাইনি নাগরিক হতাহত হতে পারেন।
স্থল অভিযানের প্রস্তুতি হিসাবে সোমবার সকালেই ইজ়রায়েলি সেনা সাধারণ প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের রাফা ছাড়তে বলেছিল। কিন্তু অক্টোবরের গোড়ায় নেতানিয়াহু ফৌজের অভিযান শুরুর পর থেকে মিশর সীমান্তবর্তী ওই শহরে উত্তর ও মধ্য গাজ়া থেকে পালিয়ে এসেছেন ১২ লক্ষেরও বেশি প্যালেস্টাইনি। তাই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শরণার্থীদের সরানো ছিল কার্যত অসম্ভব। মিশর সরকারও শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে সম্মত হয়নি। এপ্রিলের শেষপর্বে নেতানিয়াহু রাফায় স্থল অভিযানের ঘোষণার পরেই ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিফ অব স্টাফ’ জেনারেল হার্জ়ি হালেভি কায়রো গিয়েছিলেন। সেখানে মিশরের তরফে রাফায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে সম্মত হয়নি তেল আভিভ।