—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইরাকে ইজ়রায়েলের গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের দফতরে হামলা চালাল ইরানের সেনাবাহিনী। শুধু তা-ই নয়, সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে এমনই দাবি করেছে ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ। ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতে গোড়া থেকেই প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। এই পরিস্থিতিতে গাজ়ার বাইরেও পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরাকের স্বশাসিত অঞ্চল কুর্দিস্তানে রয়েছে মোসাদের দফতর। রবিবার সেখানেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইরান। ইরাকের কুর্দ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের হামলার জেরে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ছ’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরাকের এক বড় ব্যবসায়ীও। ইরাকে যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, তার অনতিদূরেই আমেরিকার উপদূতাবাস। যদিও সেখানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা।
অন্য দিকে, ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বাহিনী গত নভেম্বর থেকেই ইয়েমেন উপকূল থেকে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লোহিত সাগরগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর। আক্রান্ত হয়েছে কয়েকটি ভারতীয় জাহাজও। ইতিমধ্যেই পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকা সেনা হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে শুরু করেছে। লোহিত সাগরের অদূরে মোতায়েন হয়েছে ভারতীয় নৌসেনাও। বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গেও কথা হয়েছে জয়শঙ্করের।