আকাশপথে ইজ়রায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান। ছবি: রয়টার্স।
আগেই জানা গিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইজ়রায়েলে বড়সড় হামলা চালাতে পারে ইরান। সেই জল্পনা সত্যি করে আকাশপথে ইজ়রায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান। আইডিএফ (ইজ়রায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) সূত্রের খবর, ২০০-এর বেশি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এই হামলার ঘটনায় প্রাণহানির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ইরানের সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, শনিবার মধ্যেরাতে বিভিন্ন প্রকারের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজ়রায়েলে হামলা চালায় তেহরান। যদিও এই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজ়রায়েলের কোথায় আঘাত হেনেছে, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
ইজ়রায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “ ইরান তার ভূখণ্ড থেকে ইজ়রায়েলর উদ্দেশে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমেরিকা এবং বাকি মিত্র দেশের থেকে সহযোগিতা চেয়েছি, যাতে এই হামলা রোধ করা যায়।” ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউসের তরফ থেকেও ইজ়রায়েলের উপর ইরানের এই হামলার ঘটনাটিতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাতের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে ইরান। ইজ়রায়েল এবং ইরান এখনও পর্যন্ত সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও দু’দেশের মধ্যে চাপানউতর চলছে কয়েক মাস ধরেই। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেল।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই ইজ়রায়েলের উপর সরাসরি আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তেহরান। শুধু তা-ই নয়, এই দ্বন্দ্বের থেকে ইজ়রায়েলের বন্ধু দেশ আমেরিকাকে দূরে সরে থাকার বার্তাও দিয়ে রেখেছে ইরান সরকার।