—প্রতীকী ছবি।
সাত সপ্তাহ পর ফের দৌড়ল শেয়ার বাজারের ষাঁড়! যার জেরে সপ্তাহের শেষ দিনে একলাফে প্রায় দু’হাজার পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স। নিফটি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সাড়ে ৫০০ পয়েন্ট। আদানিকাণ্ডের জেরে লক্ষ্মীবারে (পড়ুন ২১ নভেম্বর) খাদে নেমেছিল সূচক। সেই ধাক্কা কাটিয়ে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকরা।
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ৭৯,১১৭.১১ পয়েন্টে বন্ধ হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ। এর শেয়ার সূচক সেনসেক্স ১,৯৬১.৩২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রায় ২.৫৪ শতাংশ। সকালে বাজার খোলার সময়ে ৭৭,৩৪৯.৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল সেনসেক্স। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৯,২১৮.১৯ পয়েন্টে ওঠে সূচক।
অন্য দিকে এ দিন ২৩,৪১১.৮০ পয়েন্টে খুলেছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)। দিন শেষে এর সূচক নিফটি ২৩,৯০৭.২৫ পয়েন্টে এসে থেমেছে। এই বাজারে ৫৫৭.৩৫ পয়েন্টের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। শতাংশের নিরিখে যা ২.৩৯। গত পাঁচ মাসের মধ্যে এ দিনই বাজার সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে অধিকাংশ ব্রোকারেজ ফার্ম।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যার এক্সিট পোল। সেখানে অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে এগিয়ে রেখেছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার আগের দিন আদানির ঘুষকাণ্ডের চেয়ে এক্সিট পোলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন লগ্নিকারীরা। যার জেরে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে সেনসেক্স ও নিফটি।
এ দিন ২,১৯৪টি স্টকে ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছে। দাম কমেছে ১,১৯২টি শেয়ারের। পাশাপাশি, ৭৭টি স্টক অপরিবর্তিত রয়েছে। সব মিলিয়ে নিফটিতে দুই শতাংশের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। বিএসইতে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসি ব্যাঙ্ক, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, টাটা মোটরস, পাওয়ার গ্রিড, বজাজ ফিন্যান্স, বজাজ ফিনসার্ভ এবং টেক মাহিন্দ্রার শেয়ার সবচেয়ে ভাল ফল করেছে।
এনএসইতে আবার তথ্যপ্রযুক্তি, তেল ও গ্যাস এবং ব্যাঙ্কের স্টকগুলিকে বুলেটগতিতে ছুটতে দেখা গিয়েছে। নিফটিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির শেয়ারের দর প্রায় তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই ধারা বজায় থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)