পারস্য উপসাগরে ইরানি বাহিনীর হাতে আটক জাহাজ। ছবি সংগৃহীত।
সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইজ়রায়েলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি সতর্ক করেছে, খুব শীঘ্রই ইজ়রায়েলের উপর হামলা চালাতে পারে ইরান। সেই আবহেই এ বার হরমুজ় প্রণালীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি ইজ়রায়েলি জাহাজ ধরল ইরানের বিশেষ বাহিনী ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’।
সংবাদ সংস্থা এপি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হেলিকপ্টার নিয়ে পারস্য উপসাগরের হরমুজ় প্রণালীতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইরানের বিশেষ বাহিনী। তল্লাশি চালানোর সময়ই এক পণ্যবাহী জাহাজ আটক করে তারা। বন্দুক উঁচিয়ে জাহাজটিকে দাঁড় করায় সেনারা। তার পর হেলিকপ্টার থেকে একে একে নেমে আসেন বিশেষ বাহিনীর সদস্যেরা।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, লন্ডন-ভিত্তিক জোডিয়াক গ্রুপের জাহাজ ছিল সেটি। শুক্রবার দুবাই থেকে জাহাজটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে আসছিল। শনিবার হরমুজ় প্রণালীতে সেই জাহাজটি বাজেয়াপ্ত করল ইরানের বিশেষ বাহিনী। ‘এমএসসি অ্যারিস’ নামক জাহাজটি সম্পর্কে যদিও এখনও পর্যন্ত জোডিয়াক গ্রুপ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। ইরানও সরকারি ভাবে বাজেয়াপ্ত করা জাহাজের খবর নিশ্চিত করেনি। উল্লেখ্য, জোডিয়াক গ্রুপ হল ইজ়রায়েলি ধনকুবের ইয়াল অফারের মালিকাধীন।
হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাতের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে ইরান। ইজ়রায়েল এবং ইরান এখনও পর্যন্ত সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও দু’দেশের মধ্যে চাপানউতর চলছে কয়েক দিন ধরেই। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেল।
শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আমেরিকার এক উচ্চপদস্থ গোয়েন্দাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইজ়রায়েল ইরানের উপর হামলা চালাতে পারে। উত্তর এবং দক্ষিণ ইজ়রায়েলে আক্রমণ করতে পারে তেহরান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজ়ায় সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে হামাস, হিজ়বুল্লা, হুথি-সহ ইজ়রায়েল বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে ইরান। তারই জেরে গত এক মাসে ইরানের বিভিন্ন ঠিকানায় হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী।