প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গাজ়ায় হামলার বর্ষপূর্তির ঠিক আগেই লেবাননে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করল ইজ়রায়েল ফৌজ। আর মঙ্গলবার ইজ়রায়েলি সেনার ট্যাঙ্ক বহর দক্ষিণ লেবাননে অনুপ্রবেশের পর প্রত্যাঘাত এল ইরানের তরফে! মঙ্গলবার রাতে ইজ়রায়েলের রাজধানী তেল আভিবকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান সেনা।
ইজ়রায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডারদের নির্দেশ মেনে চলতে বলেছে। আইডিএফের দাবি, সফল ভাবে তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মোকাবিলা করছে। পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিয়ো ফুটেজে তেল আভিবের আকাশে দু’তরফের ক্ষেপণাস্ত্র-যুদ্ধ দেখা গিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজ়া ভূখণ্ড থেকে স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাস হামলা চালিয়েছিল গাজ়ায়। তার পর একে একে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লা এবং ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠী তেল আভিবের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কিন্তু এই প্রথম বার পশ্চিম এশিয়ায় কোনও রাষ্ট্রশক্তি সরাসরি ইজ়রায়েলকে নিশানা করল। এর ফলে ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের সূচনা হতে চলেছে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
গত গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বেরুটের দক্ষিণে দাহিয়া এলাকায় হিজ়বুল্লার সদর দফতরে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় নিহত হন সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরাল্লা। ইরান সরকারের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই তাঁর পরিচিতি ছিল। নাসরাল্লা নিহত হওয়ার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, প্রতিশোধ নিতে হামলা চালাবে ইরান। শেষ পর্যন্ত পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে সেই পথেই পা বাড়াল তেহরান।