—প্রতীকী চিত্র।
আমেরিকায় আরও এক ভারতীয়ের মৃত্যু। নিউ ইয়র্কের আবাসনে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে ফজ়িল খানের। তিনি ভারতের বাসিন্দা। পড়াশোনার সূত্রেই আমেরিকায় গিয়েছিলেন বলে খবর। নিউ ইয়র্কের হার্লেনে শুক্রবার রাতে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আবাসনে ছিলেন ফজ়িলও। আগুন লাগার পর অন্যান্যরা পালাতে পারলেও তিনি ভিতরে আটকে পড়েন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিউ ইয়র্কে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়েছে। দূতাবাসের কর্মীরা ফজ়িলের পরিবারের পাশে আছেন। তাঁদের সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আবাসনে আগুন লেগেছিল একটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি থেকে। ব্যাটারিটি ফেটে গিয়ে আগুন লেগে যায় একটি ফ্ল্যাটে। সেখান থেকে আগুন দ্রুত অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। আবাসনের অধিকাংশ ফ্ল্যাটেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। ভিতরে আটকে পড়েছিলেন অনেকে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, আবাসনের জানলা দিয়ে প্রাণের ভয়ে নীচে ঝাঁপ দিচ্ছেন বাসিন্দা। দমকল কর্মীদের দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে অনেককে বাইরে বার করতে দেখা গিয়েছিল।
নিউ ইয়র্কের আবাসনের এই অগ্নিকাণ্ডে ১৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেকের বাসস্থান পুরোপুরি ঝলসে গিয়েছে। আগুনে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ওই আবাসন পুরো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিকটবর্তী একটি স্কুলে সাময়িক ভাবে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমেরিকা থেকে একের পর এক ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর আসছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উঠছে খুন বা চক্রান্তের অভিযোগ। গত জানুয়ারিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, রাতে তাঁকে নাইট ক্লাবে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।