আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে তিনি চার বছর ছিলেন। দ্বিতীয় বারের জন্য সেই কুর্সি দখলের লড়াইয়ে নামছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাথমিক ভাবে একের পর এক ধাপ পেরিয়েও চলেছেন অবলীলায়। সম্প্রতি তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছেন। দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন নিক্কি হ্যালি। নিক্কি দক্ষিণ ক্যারোলিনারই বাসিন্দা। সেখানকার প্রাক্তন গভর্নরও বটে। সে দিক থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনাকে নিক্কির ‘ঘরের মাঠ’ বলা যায়। প্রতিপক্ষের সেই ঘরের মাঠেও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।
আমেরিকার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন দক্ষিণ ক্যারোলিনা। সেখানে প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ের ফলে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন পেতে সুবিধা হবে ট্রাম্পের। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ক্ষেত্রেও এই জয় অনেকটা এগিয়ে দিল প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে।
দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিক্কির মূল অস্ত্র ছিল অতীত পরিসংখ্যান। সেই অনুযায়ী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারও চালিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভোটারদের সতর্ক করেছিলেন, ট্রাম্পের শাসন আমেরিকায় আবার বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে। তবে নিক্কির প্রচারের প্রতিফলন ভোটবাক্সে দেখা গেল না।
নিক্কিকে কত ভোটে ট্রাম্প হারিয়েছেন, এখনও সেই সংক্রান্ত স্পষ্ট পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসেনি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ট্রাম্প এবং নিক্কির প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান অনেক। এর আগে নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাথমিক নির্বাচনেও ট্রাম্প বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন।
দক্ষিণ ক্যারোলিনার জনপ্রিয় গভর্নর ছিলেন নিক্কি। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। ওই কেন্দ্রের প্রাথমিক পর্যায়ের নির্বাচনে তিনিই ছিলেন ‘ফেভারিট’। সেখানে ট্রাম্পের জয় অঙ্ক বদলে দিয়েছে। অনেকের মতে, নিক্কির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের মামলা চলছে। যা ঘরের মাঠেও তাঁর জনপ্রিয়তার বিপক্ষে গিয়েছে।
রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে ট্রাম্প এবং নিক্কির নামই উঠে এসেছে। একের পর এক প্রাথমিক নির্বাচনে নিক্কিকে যে ভাবে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন ৭৭ বছরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, তাতে কুর্সির লড়াইয়ে আবার বাইডেন বনাম ট্রাম্পের দ্বৈরথ দেখা যেতে পারে, মত বিশেষজ্ঞদের অনেকের। চলতি বছরের শেষে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।