প্রতীকী ছবি
ভারতে সোনা চোরাচালানের অন্যতম প্রধান এক মাথাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। প্রায় দু’বছর ধরে লেগে থেকে এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্তা। শ্যাম দাস নামে ধৃত প্রৌঢ়কে গ্রেফতারের পরে তাঁর সম্পদের বহর দেখে তাঁদের চোখ কপালে উঠেছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্তা। আয়কর দফতরকে শ্যাম জানিয়েছে, তার বাৎসরিক আয় তিন লক্ষ টাকা। এ দিকে নগদ সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা গুনে দিয়ে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রের একটি মলে সম্প্রতি দোকান কিনেছে সে। ১৫ বছর ধরে সে সম্পুর্ণ আত্মগোপন করে চোরাচালান চক্রটি চালাচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে জেরা করে এখন গোটা চক্রটিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মাঝে মাঝেই বিপুল সোনার বিস্কুট-সহ চোরাচালানিদের গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। জেরায় জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও আরব দেশগুলি থেকে ভারতে পাচারের জন্য এই সব সোনা বাংলাদেশে আসে। কিন্তু সেখান থেকে কী ভাবে ভারতে পাচার হয়, সে বিষয়ে পাচারকারীরা কিছুই জানাতে পারে না। তারা বলে, তাদের কাজ শুধু ‘শ্যাম’ নামে কোনও ক্রেতার কাছে বিস্কুটগুলি পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু কে সেই শ্যাম, তাদের সকলেরই অজানা্। এর পর ২০১৮ থেকে পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী নেমে পড়ে শ্যামকে খুঁজতে। অবশেষে জুনের ১০ তারিখে শ্যাম দাস নামে তাঁতিবাজারের এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তার পরে দীর্ঘ জেরায় প্রমাণ হয়, অতি সাধারণ বেশভুষার টাক-মাথার বছর ৫৫-র ব্যবসায়ী এই শ্যাম দাসই চোরাচালানিদের অন্যতম মাথা
শ্যাম। সীমান্তের নজরদারি এড়িয়ে অন্য দেশ থেকে আসা সোনা ভারতে পৌঁছে দেয় তার দলবল। বিপুল পরিমাণ সোনার বিস্কুট ও অলঙ্কার ছাড়া ৩০ লক্ষ টাকা ও বিপুল সম্পত্তির মালিকানার নথি উদ্ধার হয়েছে তার কাছ থেকে।