পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: রয়টার্স।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাম্প্রতিক শান্তি প্রস্তাব এবং তার পর কিছুটা ঢোঁক গিলে তাঁর কার্যালয়ের তরফে প্রস্তাবের উপর শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা— দু’টির কোনওটিকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না নয়াদিল্লি।
গত দু’দিন বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও আজ তা স্পষ্ট করে দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেখেছি। পরে তাঁর সচিবালয় যে ব্যাখ্যা দিল, সেটাও শুনলাম। এই সবের আগে পাকিস্তানের এক নেতাও কাশ্মীর নিয়ে কিছু বলেছিলেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কতটা গুরুত্ব রয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনও ধারণা নেই। আমরা চাই, পাকিস্তান-সহ সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গেই স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে। কিন্তু আলোচনার জন্য প্রয়োজন সহায়ক পরিবেশ। হিংসার মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা করা চলে না।”
দু’দিন আগে আবু ধাবির একটি সংবাদমাধ্যমকে শরিফ জানিয়েছিলেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি একান্ত আগ্রহী। ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধের পর যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে পাকিস্তানের। এর পরেই তাঁর সচিবালয় ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেয়। বলে যে, শরিফের এই প্রস্তাব শর্তহীন নয়। যদি ভারত কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, তা হলেই আলোচনায় বসা সম্ভব।
ভারত ভাল করেই জানে যে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক শুধরানো নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ, মৌলবিতন্ত্র, সেনা এবং আইএসআই কখনও এক ছাতার তলায় আসবে না। স্বাভাবিক ভাবেই শরিফকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা ভারতের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই ঘরোয়া ভাবে জানাচ্ছে সাউথ ব্লক সূত্র। পাশাপাশি নয়াদিল্লি এটাও বিশ্বাস করে যে তিনটি যুদ্ধ থেকে পাকিস্তান আদৌ কোনও শিক্ষা নেয়নি। তা নিলে ২০২১ সালে তালিবানকে আফগানিস্তানের মসনদে বসানোর জন্য তারা কাঠখড় পোড়াতো না।