প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ত্রিশঙ্কু হলেও বাম জোটের দাপট অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আপাতত দেখছে না নয়াদিল্লি।
পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে ফ্রান্স এমন একটি রাষ্ট্র যাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, রণকৌশলগত এবং জলবায়ু সংক্রান্ত অংশীদারি ভারতের সবচেয়ে ভাল। আমেরিকা যে ভাবে প্রতিটি সমর্থনের প্রশ্নে ভারতে শাসক দলের মানবাধিকার, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সংখ্যালঘু পীড়নের বিষয়গুলিকে সামনে নিয়ে আসে, গত ১০ বছরে ফ্রান্সের তেমন ভূমিকা কমই দেখা গিয়েছে বলে মনে করে কূটনৈতিক শিবির। আর ভবিষ্যতেও জাতীয় স্বার্থের কারণে ভারতের সঙ্গে চলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্রান্সের অংশীদারি ইতিবাচক দিকেই চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার তৈরি না হলে তার অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশনীতিতে যে নীতিপঙ্গুতা দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে ফান্সে তা হবে কিনা সে দিকে নজর রাখতে চাইছে ভারত। দু দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যে কথা চলছে, তা নয়া জমানায় শ্লথ হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন সরকার নতুন ভাবে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। পাশাপাশি, এই নির্বাচনের ফলাফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দুর্বল হয় কিনা লক্ষ্য রাখা হবে সেদিকেও। বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে বিশ্বাসী ভারত একদিকে আমেরিকা-সহ পশ্চিম, অন্য দিকে রাশিয়া, চিনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার্থে ই ইউ-র সঙ্গেও সমান ভাবে সম্পর্ক বজায় রেখেই চলে।
বামপন্থীরা অভিবাসন নীতি নিয়ে সাধারণত কড়া মনোভাব নেন। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা হবে না বলেই দাবি সাউথ ব্লকের। কারণ ভারতীয়রা যে দেশেই যান, মেধার বিনিময়ে শিক্ষা নিয়ে সেখানের আর্থ-সামাজিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করেন। তা ছাড়া কোনও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাও সাধারণত ভারতীয়রা সঙ্গে নিয়ে যান না বিদেশের মাটিতে যা পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ সব ব্যাপরে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের বোঝাপড়া বরাবরই ভাল।