ফাইল চিত্র।
অহংকার পতনের মূল এই আপ্তবাক্যকে খানিক পাল্টে সেনাকেই তাঁর পতনের মূল হিসাবে সেনার দিকেই পরোক্ষ ভাবে আঙুল তুললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াকে পরোক্ষ কটাক্ষ করে ইমরান বলেছেন, ক্ষমতাবান কিছু ব্যক্তির ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই এ ভাবে গদি থেকে সরে যেতে হল তাঁকে। সেই সঙ্গে বিরোধী জোটকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ১০ এপ্রিল ইমরানের গদিচ্যুত হওয়ার পিছনের একাধিক কারণের মধ্যে অন্যতম তাঁর পাশ থেকে সেনার সরে যাওয়া। সেনার সমর্থন না পাওয়ার মূল কারণ, ২০২১ সালে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান হিসাবে লেফটেনান্ট জেনারেল নাদিম আনজুমের নিয়োগে তিনি আপত্তি করেছিলেন। তিন সপ্তাহের টানাপড়েনের পরে শেষে তিনি মতবদল করলেও, ততদিনে পাকিস্তানের সেনা তাঁর পাশ থেকে সরে গিয়েছে।
নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর কর্মীদের টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, দেশের শাসনব্যবস্থায় মানুষেরাও রয়েছেন। যদি শাসনব্যবস্থায় নিযুক্ত মানুষদের মধ্যে এক বা দু’জন ভুল করেন, তাতে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাকে দোষ দেওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, বুধবার একটি সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই সেনার সঙ্গে ইমরান ও তাঁর রাজনৈতিক দলের সম্পর্কে ভাটা পড়তে শুরু করে। ফওয়াদের কথায়, “সেনার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ঠিক করে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর অনেক চেষ্টা করেছি আমরা। কিন্তু কোনও প্রয়াসই সফল হয়নি।”
ইমরান খান গদিচ্যুত হওয়ার পরে ঠিক এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন পিমিএল(এন) প্রধান শাহবাজ় শরিফ। তার পর থেকেই টানা সমালোচনায় মুখর ইমরানের দল। বৃহস্পতিবার লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম মিছিলের ডাকও দিয়েছেন ইমরান।
তবে, কটাক্ষের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের সেনার প্রশংসাও করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, সেনা না থাকলে পাকিস্তান এত দিনে টুকরো টুকরো হয়ে যেত।