ফাইল চিত্র।
ইমরানের গড় বলে পরিচিত দেশের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া। সেই প্রদেশের আঞ্চলিক নির্বাচনেই ভরাডুবি হল ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর। দলের এই ফলাফলে হতাশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমাদের কোথাও বড় ভুল হয়েছিল!’’
গত রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, খাইবার পাখতুনখোয়ার ১৭টি জেলায় প্রাদেশিক প্রশাসনিক পদে নির্বাচন হয়েছে। পেশোয়ার-সহ এই প্রদেশের বড় শহরগুলির মেয়র পদে নির্বাচনও হয়েছে একই সঙ্গে। আজ ভোট গণনার প্রথম পর্যায়ে ২৭টি আসনে ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ২১টি আসনে জিতেছেন বিরোধীরা, আর পিটিআই পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন। এখনও ৩৪টি আসনে ভোটগণনা বাকি। তবে বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, বাকি আসনেও বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না ইমরানের দল। ফলে খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রাদেশিক সরকার গড়া পিটিআইয়ের পক্ষে
সম্ভব হচ্ছে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
গত আট বছর ধরে খাইবার পাখতুনখোয়া নিজেদের দখলে রেখেছে পিটিআই। এ বার এই ফলে তাই বিস্মিত পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা অবশ্য বলছেন, সাম্প্রতিক কালে ভয়ানক মূল্যবৃদ্ধির জন্যই দেশের সাধারণ মানুষ ইমরান সরকার-বিরোধী হয়ে উঠছে। সেই মনোভাবের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে আঞ্চলিক ভোটেও। কর্পোরেট সংস্থা দাউদ ইকুইটিজ়ের কর্ণধার মেমুনা তনভিরের কথায়, ‘‘দেশের শোচনীয় অর্থনৈতিক অবস্থার জন্যই ভোটে এমন ফল করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। এক দিকে ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধি, অন্য দিকে বেড়ে চলা বেকারত্ব— এই দু’য়ে জেরবার এ দেশের সাধারণ মানুষ। এই ভোটের ফলাফল ইমরান সরকারকে সতর্ক হওয়ার এক বার্তা দিল।’’
দেশের প্রধানমন্ত্রী তথা পিটিআই নেতা ইমরান খান অবশ্য সে কথা মানতে নারাজ। ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে তিনি টুইট করেন, ‘‘ভোটের আগে আমাদের দল কিছু ভুল করেছিল। যার মধ্যে সব থেকে বড় ভুল— ঠিক মতো প্রার্থী নির্বাচন না করা। এর পর আমি নিজে এই প্রদেশের সব দলীয় কার্যকলাপ খতিয়ে দেখব। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, পরের ভোটে পিটিআই অনেক ভাল ফল করবে।’’