অস্বস্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি।
আরও চাপে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষেই সায় দিয়ে দিল হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ। এই নিয়ে তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেনেটে ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে চলেছেন ট্রাম্প। এর আগে ১৮৬৮ এবং ১৯৯৮-তে ইমপিচ করা হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন এবং বিল ক্লিনটনকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টক ইমপিচ করা হবে কিনা তা নিয়ে বুধবার হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ-এ ডেমোক্র্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা উত্তপ্ত বিতর্ক হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটই ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষেই যায়। ফলে এখন গোটা বিষয়টাই নির্ভর করছে সেনেটের উপর। সেখানেও যদি ভোট ট্রাম্পের বিপক্ষে যায়, তা হলে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগেই সরে যেতে হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যথেচ্ছাচার, প্রতারণা এবং কোনও গুরুতর অপরাধের অভিযোগ যদি ওঠে এবং আইনসভার বেশির ভাগ সদস্যই যদি তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে ভোট দেন, তা হলে প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারণ করার ক্ষমতা রয়েছে কংগ্রেসের। এটাই হল ইমপিচমেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যেমন, ক্ষমতার অপব্যবহার, কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়া, ইউক্রেনকে সেনা সহযোগিতায় বাধাদান এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর জন্য প্রশাসনকে চাপ দেওয়া ইত্যাদি।
হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভে মোট ২৩০টি ভোট পড়েছিল। তার মধ্যে ১৯৭টি ভোটই ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে গিয়েছে। এখানে ডেমোক্র্যাটরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে রিপাবলিকানরা এঁটে উঠতে পারেননি।
হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভে ইমপিচমেন্টের বিষয়টি পাশ হয়ে যাওয়ায় বেজায় চটেন ট্রাম্প। টুইটে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যার শিকার বানানো হচ্ছে আমাকে। এটা আমেরিকার উপর আক্রমণ। এটা রিপাবলিকানদের উপর আক্রমণ।” ইমপিচমেন্ট নিয়ে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল ডেমোক্র্যাটরা তখনও ট্রাম্প টুইটে রীতমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘‘আমি কোনও দোষ করিনি। আমাকে অযথা ইমপিচ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত অন্যায়।’’
হাউস যখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছিল, তখন তিনি মিশিগানের ব্যাটল ক্রিক অ্যারেনায় সভা করছিলেন। ১০ হাজার সমর্থক সেখানে হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ডেমোক্র্যাটরা এই ইমপিচমেন্ট এনে আত্মঘাতী হওয়ার পথে হাঁটছে।”