—প্রতীকী চিত্র।
৬.৪ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্পে শুক্রবার রাতে কেঁপে উঠেছে নেপালের মাটি। কম্পনের অভিঘাতে ভারতের এই পড়শি দেশে ১২০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে খবর। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘন ঘন ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য, হিমালয়ের নীচে ভূকম্পন বলয় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার জেরে ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের বিরোধ তৈরি হতে পারে। ভারতীয় পাতটি ক্রমে উত্তর দিকে এগোচ্ছে। এর ফলে ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হতে পারে। তাই হিমালয় এলাকায় যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডে-কে ভূকম্পনবিদ অজয় পাল জানিয়েছেন, নেপালের নীচে একটি ভূকম্পন বলয়কে অতি সক্রিয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে। শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের ডোটি জেলার কাছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও ওই একই এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছিল, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৩। তিন জন মারা গিয়েছিলেন সেই কম্পনের ফলে। এ ছাড়া, গত ৩ অক্টোবর নেপালের ওই এলাকাতেই পর পর বেশ কয়েক বার কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনগুলির মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল অত্যন্ত কম।
চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারতীয় পাত এবং ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলেই তৈরি হয়েছিল হিমালয় পর্বতমালা। ভারতীয় পাতের সেই উত্তরাভিমুখী গমন এখনও থামেনি। তাই ছোট-বড় ভূমিকম্প ওই এলাকায় লেগেই আছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ভারতীয় পাতের সক্রিয়তার ফলে ইউরেশীয় পাতের উপরে যে চাপ তৈরি হচ্ছে, আগামী দিনে তা বড়সড় ভূমিকম্পের আকার নিতে পারে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা হতে পারে আটের বেশি। সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।