ফাইল চিত্র।
ভারতে ১ লক্ষ মানুষের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার পরে আর হয়তো ভিড় নিয়ে কখনও উত্তেজিত হবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্তত আজ সাউথ ক্যারোলাইনার এক অনুষ্ঠানে তেমনই বললেন তিনি।
আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে ছিলেন ১ লক্ষ মানুষ। আজ সাউথ ক্যারোলাইনার অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সময় কাটিয়ে এলাম। দারুণ মানুষ। ভারতীয়েরা তাঁকে ভালবাসেন।’’ এর পরেই ট্রাম্প
বলেন, ‘‘ভারতে এক দারুণ ঘটনা ঘটল। আমি অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম এক বিশাল জনতা অপেক্ষা করছে। আমি ভিড় ভালবাসি। কারণ, আমার অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। কিন্তু আমি ১ লক্ষ, ৫০ হাজার বা ৬০ হাজার মানুষের ভিড় দেখে এলাম। তার পরে এখানে এই ভিড় দেখছি। কিন্তু আমি দু’দেশের জনতাকেই পছন্দ করি।’’
ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমি হয়তো ভিড় নিয়ে আর কখনও উত্তেজিত হব না। ভেবে দেখুন, ভারতবাসীর সংখ্যা ১৫০ কোটি। ভারতবাসী আমেরিকাকে ভালবাসেন। আমার সফর সফল হয়েছে।’’ কূটনীতিকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল ট্রাম্পের। কারণ, ৪০ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বলে ধারণা ট্রাম্পের দলের। ভারত থেকে ফিরে তাই সেই সুসম্পর্কের ছবিই বিপণন শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কূটনীতিকদের মতে, এটি আঁচ করেই হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’-র মঞ্চে কার্যত ট্রাম্পকে নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ করে দেন মোদী। তবে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের নাক গলানোর চেষ্টার ফল শেষ পর্যন্ত বিপরীত হতে পারে বলেও মনে করেন অনেক কূটনীতিক।
ট্রাম্পের সফরের সময়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছে দিল্লিতে। তা নিয়ে মোদীকে কাঠগড়ায় তোলেননি ট্রাম্প। ট্রাম্পের সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, ‘‘ভারতে প্রায় ২০ কোটি মুসলিমের বাস। দিল্লিতে মুসলিম-বিরোধী জনতার হামলায় ২৭ জন নিহত হন। ট্রাম্প
বললেন, এটা ভারতের ব্যাপার। এটা থেকেই বোঝা যায় তিনি মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ।’’ তার পরেই স্যান্ডার্সের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ টুইটারে লেখেন, ‘‘আমরা নিরপেক্ষ হতে চাইলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি ভূমিকা পালন করতে আপনারাই আমাদের বাধ্য করছেন।’’ পরে সন্তোষ টুইটটি মুছলেও বোঝা যায়, মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে আসরে নামতে রাজি বিজেপি তথা টিম মোদী।