তখন সুদিন। বাজওয়ার সঙ্গে ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়ানোর জন্য আরও এক বার পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আক্রমণ করলেন ইমরান খান। জানালেন, ২০১৯ সালে সেনাপ্রধান হিসাবে মেয়াদবৃদ্ধির পরেই বদলে গিয়েছিলেন বাজওয়া। ইমরানের অভিযোগ, তার পরই গোপনে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নেন তিনি।
পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে বাজওয়া ‘ইমরান-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর এই বাজওয়ার বিরুদ্ধেই চক্রান্ত করার অভিযোগ তোলেন পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান। পাকিস্তানের একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, ২০১৯ সালে মেয়াদ বাড়ার পরেই বদলে যান সেনাপ্রধান বাজওয়া। তার পরই তিনি শরিফদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নেন। ‘শরিফদের’ বলতে তিনি নওয়াজ শরিফ এবং তাঁর ভাই শাহবাজ় শরিফকেই বুঝিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখন ওই নওয়াজের দল পিএমএল(এন)-ই শাসনক্ষমতায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ।
ইমরান অভিযোগ করেন যে, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই হুসেন হক্কানিকে আমেরিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত করেছিলেন বাজওয়া। ইমরান জানান, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দুবাইতে হক্কানির সঙ্গে বৈঠক করেন বাজওয়া। ইমরান সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেও প্রশাসনে যে মূল নিয়ন্ত্রণ ছিল সেনাপ্রধানের হাতেই, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছিল তিনি।
ইমরানের অভিযোগ, আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত হিসাবে যাওয়া হক্কানিও তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্য চক্রান্ত করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নির্দিষ্ট ভাবে আমেরিকার কূটনীতিবিদ ডোনাল্ড লু’কে দায়ী করেছেন। ইমরান আগেও অভিযোগ করেছিলেন যে, আমেরিকার কূটনৈতিক মহলের একাংশ, বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সেনাপ্রধান মিলে চক্রান্ত করে তাঁকে পদ থেকে সরিয়েছে। পরে অবশ্য আমেরিকার নাম নিতে রাজি হননি তিনি। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে আবার উত্তপ্ত হয়েছে সে দেশের রাজনীতি। এই আবহে নতুন করে নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন ইমরান। তাঁর দাবি, স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচন হলে তিনিই জিতবেন।